ধর্ষণ থেকে রেহাই পেতে লোহার অন্তর্বাস
ক্রমশ সহিংস হয়ে উঠছে আফগানিস্তানের পুরুষতান্ত্রিক অবদমনের সংস্কৃতি। নারীর প্রতি সহিংসতা ও যৌন নিপীড়ন বাড়ছে দিনকে দিন। যদিও সেখানে নারীদের মধ্যে বোরকা পড়ার প্রচলন আছে, তাতেও খুব একটা সুফল পাওয়া যাচ্ছে না। এমনকি নীল নাইলনের তৈরী বিশেষ এক ধরনের পোশাক পড়েও নিস্তার মিলছে না নারীদের।
আফগানিস্তানের নারীদের প্রতি এ যৌন নিপীড়নের প্রতিবাদ স্বরুপ এক অন্যরকম প্রতিরোধ তৈরীর চেষ্টা করেছেন কুবরা খাদেমি নামে এক আফগান নারী। ধর্ষণের হাত থেকে রেহাই পেতে তিনি বিশেষ ধরনের লৌহ নির্মিত এক ধরনের অন্তর্বাস প্রস্তুত করেছেন।
এ অন্তর্বাসটি পড়ে তিনি আফগানিস্তানের রাস্তায় ১০ মিনিট হাঁটার পরিকল্পনা করেছিলেন। কিন্তু পরিকল্পনা অনুযায়ী ১০ মিনিট হাঁটতেই নেমে আসে পুরুষতান্ত্রিক অবদমন। রাস্তায় এটা পড়ে হাঁটার সময় সবাই অবাক দৃষ্টিতে তার দিকে তাকাচ্ছিলো। লোকজন তাকে গাগাগালি করছিলো এবং তাকে লক্ষ্য করে ইট পাথর ছুঁড়ে মারছিল। কুবরা বলেন, অামি অবাক হয়ে গেলাম যখন দেখেলাম, ছোট ছোট শিশুরা পর্যন্ত আমার দিকে তেড়ে আসছে এবং আমাকে বলরেছ, তাকে মারো।
একটি গোপন জায়গায় বিবিসিকে দেয়া স্বাক্ষাৎকারে কুবরা বলেন, এ স্যুটটি তৈরী করতে কয়েক সপ্তাহ সময় লেগেছে তার। কামারের কাছে যখন তিনি এরকম একটা স্যুটের কথা বলেছিলেন, তখন তিনি যারপরনাই অবাক হয়েছিলেন। পরে অনেক চেষ্টার পরে তিনি অবশ্য স্যুটটা তৈরী করতে পেরেছিলেন।
কিন্তু এমন একটা অন্তর্বাস তৈরীর ধারণা তার কবে এলো? কুবরা জবাব দেন, আমি যখন ৫ বছর বয়সী শিশু, তখনই আমার উপর যৌন নির্যাতন হয়েছিলো। সেদিনের কথা আমি আর বেশি কিছু মনে করতে চাই না। তবে সেদিনই আমি মনে মনে প্রতিজ্ঞা করেছিলাম যে, আমার একটা লোহার অন্তর্বাস চাই।
সূত্র: বিবিসি
মন্তব্য চালু নেই