ধর্ষকের পুরুষাঙ্গ কর্তন!

ভারতে ধর্ষকের পুরুষাঙ্গ কেটে নিয়েছে এক মেয়ে। দ্বিতীয়বার মেয়েটিকে ধর্ষণের চেষ্টা চালানোর সময় একটি ধারালো অস্ত্র দিয়ে সে তার গোপনাঙ্গ কেটে নেয়।

ভারতের বিহার রাজ্যের মধ্যপুরা জেলার এক প্রত্যন্ত গ্রামে জুলাই মাসের গোড়ার দিকে এ ঘটনা ঘটে। কিন্তু এ ঘটনায় বৃহস্পতিবার মামলা দায়ের করা হয়েছে।

পুলিশ বলছে, গত পহেলা জুলাই ওই মেয়ে হঠাৎ করেই অসুস্থ হয়ে পড়ে। তখন তার মা তাকে নিয়ে স্থানীয় ওঝা মহেন্দ্র গুপ্তার কাছে যান। ওঝা তাকে বলেন, তার মেয়ের ওপর কিছু অশুভ আত্মা ভর করেছে এবং তাকে সত্ত্বর চিকিৎসা করাতে হবে।

এরপর ওই ভণ্ড ওঝা মেয়েটিকে তার বাড়ির একটি পৃথক ঘরে নিয়ে গিয়ে ধর্ষণ করেন। এ ঘটনা যেন কারো কাছে প্রকাশ না করা হয়ে এ বিষয়ে তিনি মেয়েটিকে হুঁশিয়ার করে দেন। লোকলজ্জার ভয়ে মেয়েটি তার ধর্ষিতা হওয়ার ঘটনাটি গোপন রাখে।

কিন্তু পরদিন ওঝা মহেন্দ্র গুপ্তা ফের মেয়েটির বাড়িতে যান এবং তাকে নিজ বাড়িতে ডেকে আনেন। ওঝার বাড়িতে যাওয়ার আগে ধর্ষিতা তার সঙ্গে লুকিয়ে একটি ধারালো ছুরি নিয়ে যায়। ওঝা তাকে ধর্ষণ করতে উদ্যত হলে মেয়েটি তার পুরুষাঙ্গ কেটে নেয়। এরপর মহেন্দ্রকে রক্তাক্ত অবস্থায় ফেলে রেখে সে ঘটনাস্থল ত্যাগ করে। এ ঘটনার পর থেকে পলাতক রয়েছেন ওঝা মহেন্দ্র।

পরে গ্রাম্য আদালতকে ঘটনাটি জানায় মেয়েটি। কিন্তু তারা ধর্ষণের ঘটনা ধামাচাপা দেয়ার চেষ্টা করেন এবং ক্ষতিগ্রস্থকে পুলিশের কাছে যেতে বাধা দেন। শেষমেষ বৃহস্পতিবার স্থানীয় থানায় মামলা দায়ের করে মেয়েটি।

ভারতে এর আগে নব্বই দশকে এরকম আরো একটি চাঞ্চল্যকর ঘটনা ঘটেছিল। তখন এক দলিত কন্যা জনতা দলের তৎকালীন সংসদ সদস্য যোগেন্দ্র সরদারের পুরুষাঙ্গ কেটে নিয়েছিল। ওই রাজনীতিবিদ বিহারের সুপাউল জেলায় তার খামারবাড়িতে আটকে রেখে ওই মেয়েটিকে ধর্ষণের চেষ্টা করার সময় এ ঘটনা ঘটে। পরে গ্রেপ্তার এড়াতে নেপাল পালিয়ে গিয়েছিলেন যোগেন্দ্র।



মন্তব্য চালু নেই