ধর্ষকদের জন্য ক্ষমা প্রার্থনা নির্যাতিতার
গণধর্ষণের শিকার হয়ে হাসপাতালের বেডে শুয়ে ব্যথায় কাতরাচ্ছেন বৃদ্ধা যাজক। অথচ সেই ধর্ষকদের জন্যই ক্ষমা প্রার্থনা করছেন! শুধু ধর্ষকদের জন্য ক্ষমা প্রার্থনাই নয়, দুশ্চিন্তা করছেন স্কুলের শিশুদের নিরাপত্তা নিয়েও।
টাইমস অব ইন্ডিয়ার এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ভারতের পশ্চিমবঙ্গের রানাঘাট হাসপাতালে ভর্তি ৭২ বছর বয়সী যাজককে দেখতে গিয়ে কান্নায় চোখ ভাসাচ্ছেন অনেক পরিদর্শনকারী। গত শনিবার গণধর্ষণের শিকার হওয়া বৃদ্ধা যাজক এখনও হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন।
নির্যাতিতা যাজকের অবস্থা বর্তমানে স্থিতিশীল রয়েছে বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকরা।
হাসপাতালের সুপারিনটেন্ডেন্ট অতীন্দ্রনাথ মণ্ডল জানিয়েছেন, চিকিৎসাধীন যাজক ওই ঘটনার পর তার হৃদয় ভেঙ্গে গেছে বলে উল্লেখ করেছেন। বেশিরভাগ সময়ই তিনি স্কুল ও এর শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তার বিষয় নিয়ে চিন্তা করছেন। এ ছাড়া ধর্ষণকারীদের জন্য ক্ষমা প্রার্থনাও করছেন তিনি।
এদিকে নির্যাতিতা ধর্ষণকারীদের জন্য ক্ষমা প্রার্থনা করলেও অপরাধীদের শাস্তি দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন কলকাতার গভর্নর কেশরীনাথ ত্রিপাঠী।
খ্রীষ্টান যাজকদের পরিচালিত জেসাস এ্যান্ড মেরি স্কুল কর্তৃপক্ষ স্কুলটিতে হামলা ও বৃদ্ধা যাজককে গণধর্ষণের ঘটনাকে ধর্মের ওপর হামলা বলে আখ্যায়িত করেছে। এর আগে পশ্চিমবঙ্গ প্রশাসনের পক্ষ থেকেও এ ঘটনার জন্য মুসলিম ও খ্রীষ্টানদের হিন্দুতে ধর্মান্তরকরণ কর্মসূচিকে দায়ী করা হয়।
আটক ৮
কলকাতা থেকে ৮০ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত রানাঘাটে গত শনিবার ভোর ৪টার দিকে ঘটা ওই ঘটনার পর থেকে এতে জড়িত সন্দেহে আটজনকে আটক করেছে পুলিশ। তবে এদের মধ্যে ভিডিও ফুটেজে দেখতে পাওয়া চার ধর্ষণকারী নেই।
এর আগে পুলিশ জানায়, মোট ছয়জন জেসাস এ্যান্ড মেরি স্কুলে হামলা চালায়। এর মধ্যে চারজন ওই যাজককে ধর্ষণ করে।
অভিযুক্তরা গণধর্ষণ ছাড়াও ভাংচুর, নিরাপত্তাকর্মীকে মারধর, ৮-৯ লাখ রুপি, ল্যাপটপসহ বহু মূল্যবান যন্ত্রপাতি নিয়ে যায়।
মন্তব্য চালু নেই