দুবাইয়ের বুর্জ খলিফাকে হারাতে চলেছে ভারতের মন্দির!

ভূগর্ভে গাঁথনির গভীরতায় দুবাইয়ের বুর্জ খলিফাকে হারাতে চলেছে ভারতের বৃন্দাবনের চন্দ্রোদয় মন্দির। দুবাইয়ে অবস্থিত বিশ্বের এই উচ্চতম স্কাইস্ক্র্যাপার ভূগর্ভে প্রায় ৫০ কিলোমিটার পর্যন্ত বিস্তৃত। আরও পাঁচ কিলোমিটার গভীরতর হতে চলেছে চন্দ্রোদয় মন্দিরের ভিত। অর্থাৎ মাটির তলায় প্রায় ৫৫ কিলোমিটার পর্যন্ত বিস্তৃত হবে বৃন্দাবনের এই ইমারতটির ভিত।

চন্দ্রোদয় মন্দির প্রকল্পটির সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট নরসিংহ দাস জানান, মোট ৫১১টি স্তম্ভ থাকবে সেখানে। ইতিমধ্যেই ১৪০টি স্তম্ভ তৈরি হয়ে গিয়েছে। বাকিগুলি আগামী মার্চের মধ্যে শেষ হয়ে যাবে বলে মনে করা হচ্ছে। ২০২২-র মধ্যে সমগ্র ইমারতটি হয়ে যাবে বলে আশাবাদী কর্তৃপক্ষ। কলকাতা২৪-এর এক প্রতিবেদনে এ খবর জানা যায়।

প্রায় ৭০০ কোটি টাকা লাগবে এটি তৈরি হতে। তবে মজার বিষয়, মূল আর্থিক অনুদান বেঙ্গালুরু ইসকনের (ইন্টারন্যাশনাল সোসাইটি অফ কৃষ্ণ কনশাসনেস) ভক্তসদস্যদের পক্ষ থেকে এলেও, দেশ-বিদেশের বিভিন্ন অঞ্চলের বিভিন্ন ধর্মাবলম্বী মানুষ অর্থসাহায্য করছেন। প্রকল্পটি নির্মাণেও হাত লাগিয়েছেন বিভিন্ন ধর্মের মানুষ। মূল আর্কিটেক্ট টিমের প্রধান জগমন্দির হলেন শিখ। স্ট্রাকচারাল ডিজাইনিংয়ের বিষয়টি দেখছেন মিসাম ইমাম। ভার্টিকাল ট্রান্সপোর্ট বা উচ্চতা সংক্রান্ত বিষয়ের তদারকিতে আছে ক্রিস মিরিংয়ের নেতৃত্বাধীন এক দল।

তবে শুধু গভীরতায় বিশ্বের বৃহত্তম স্কাইস্ক্র্যাপারকে হারানোর জন্যই নয়, আরও কয়েকটি কারণে খবরের শিরোনামে নির্মীয়মাণ মন্দিরটি। এগুলি হল উচ্চতা, বন ও থিম পার্ক। প্রায় ৭০০ ফুট বা ২১০ মিটার উঁচু মন্দিরটি বিশ্বের উচ্চতম মন্দির হতে চলেছে। দিল্লির কুতুব মিনারের তিনগুণ এটি।

চন্দ্রোদয় মন্দিরে থাকবে মোট চারটি মন্দির চত্বর। একটি বিশাল যোগচিহ্নের আকারবিশিষ্ট হবে ৭০০ ফুট মন্দিরটি। প্রতি কোণে থাকবে একটি করে মন্দির। এগুলি হবে রাধা-কৃষ্ণ, কৃষ্ণ-বলরাম, চৈতন্য মহাপ্রভু ও স্বামী প্রভুপাদের। ব্রজের ১২টি বনের আদলে তৈরি হবে বনও। বৈষ্ণব পদাবলি বা শ্রীকৃষ্ণকীর্তনের মতো প্রাচীন সাহিত্যকে মনে করিয়ে দেবে মধুবন, তালবন, কুমুদবন, বহুলাবন, কাম্যবন, খাদিরাবন, বৃন্দাবন, ভদ্রাবন, বিল্ববন, লহুয়াবন, ভন্দিরাবন ও মহাবন। থিম পার্কে থাকছে ঘন জঙ্গল সাফারি। থাকছে লাইট, সাউন্ড, স্পেশ্যাল এফেক্ট এবং লেসার শো’র মাধ্যমে ‘ব্রজমণ্ডল’ পরিক্রমার ব্যবস্থা। বৃন্দাবনের বিভিন্ন বনে শ্রীকৃষ্ণের বিভিন্ন লীলা দেখা যাবে এর মাধ্যমে। অ্যানিমেট্রনিক্সের সাহায্যে এগুলি পরিচালিত হবে। এই পদ্ধতিতে রোবোটদের জীবন্ত মানুষের মতো নিয়ন্ত্রণ করা যায়।



মন্তব্য চালু নেই