দলীয় পদ ছাড়ছেন সোনিয়া ও রাহুল

ভারতের ১৬তম লোকসভা নির্বাচনে ভরাডুবির পর কংগ্রেসের প্রেসিডেন্ট এবং ভাইস প্রেসিডেন্টের পদ থেকে পদত্যাগ করতে যাচ্ছেন সোনিয়া গান্ধী এবং তার পুত্র রাহুল গান্ধী। এর আগে শুক্রবার নির্বাচনী ফলাফল প্রকাশিত হওয়ার পর তারা দলের এই শোচনীয় পরাজয়ের দায়িত্ব স্বীকার করে নিয়েছিলেন।

কংগ্রেসের এক সূত্রের বরাত দিয়ে এনডিটিভি শনিবার জানায়, সোমবার দলের নীতি নির্ধারকদের ‘কংগ্রেস ওয়াকিং কমিটি’র বৈঠকে তারা পদত্যাগ করার প্রস্তাব দেবেন। তবে দলের নেতারা তাদের পদত্যাগ গ্রহণ করবেন কিনা সে বিষয়ে যথেষ্ট সন্দেহ রয়েছে। কেননা কংগ্রেসের কাছে গান্ধী পরিবারের বিশেষ কদর রয়েছে।

এবারের নির্বাচনে ভারতের ঐতিহ্যবাহী এবং প্রাচীণতম এই রাজনৈতিক দলটি শোচনীয়ভাবে হেরে গেছে। পার্লামেন্টে তারা ১শ আসনও পায়নি। এছাড়া মোট ১০টি রাজ্যে তারা একটি আসনও পায়নি। রাহুল গান্ধী কংগ্রেসের হাল ধরার পর থেকে দলটির জনপ্রিয়তা কমতে শুরু করে। নির্বাচনী প্রচারণাতেও তিনি জনসমর্থন টানতে ব্যর্থ হন।)

দলের ভরাডুবির পর শুক্রবার মা ও ছেলে সাংবাদিকদের সামনে হাজির হয়েছিলেন। এ সময় ভাইস প্রেসিডেন্ট রাহুল গান্ধী বলেন,‘ নির্বাচনে কংগ্রেস শোচনীয়ভাবে হেরে গেছে। এ নিয়ে আমরা চিন্তা-ভাবনা করছি।দলের এই ফলাফলের জন্য আমিই দায়ী।’

অন্যদিকে রাহুলের মা এবং দলের প্রেসিডেন্ট সোনিয়া গান্ধী স্পষ্ট হিন্দিতে বলেন,‘ জনগণ আমাদের বিরুদ্ধে রায় দিয়েছে। কংগ্রেসের প্রেসিডেন্ট হিসেবে আমি এ পরাজয়ের দায়িত্ব স্বীকার করে নিচ্ছি।’ পাশাপাশি নির্বাচনে বিপুল বিজয়ের জন্য তিনি বিজেপিকে অভিনন্দন জানান।

এবারের লোকসভা নির্বাচনে নরেন্দ মোদির দল বিজেপি একাই পেয়েছে ২৮৩ আসন যা সরকার গঠনের জন্য যথেষ্ট। এছাড়া তাদের জোট পেয়েছে ৩৩৭ আসন। অন্যদিকে দুই মেয়াদে ক্ষমতায় থাকা কংগ্রেস পেয়েছে মাত্র ৬১ আসন। উত্তর প্রদেশের ৮০টি আসনের মধ্যে তারা পেয়েছে মাত্র দুটি আসন। আর বিজেপিিএবং তাদের জোট পেয়েছে ৭৩টি আসন।

নির্বাচনী প্রচারণায় মোদি প্রায়ই সোনিয়া ও রাহুলকে আক্রমণ করে বলতেন ‘মা-বেটার সরকার’। এ নির্বাচনে পরিবারতন্ত্রের বিরুদ্ধে ঐতিহাসিক রায় দিয়েছে ভারতীয় জনগণ। আর এভাবেই এক চাওয়ালার কাছে করুণভাবে হেরে গেলেন ঐতিহ্যবাহী পরিবারের বিশেষ সুবিধাপ্রাপ্ত ৪৩ বছরের রাহুল।



মন্তব্য চালু নেই