দর্শনার্থীদের সামনেই যুবককে মারল বাঘ (ভিডিও)

ভারতের দিল্লি চিড়িয়াখানায় বাঘ দেখতে এসে বাঘের শিকার হয়েছেন এক ভাগ্যহত দর্শনার্থী। ২০ বছর বয়সী ওই তরুণের নাম মাকসুদ।

যে উঁচু দেয়াল দিয়ে বাঘকে আটকে রাখা হয় সেই দেয়ালের ওপর থেকে ভেতরে পড়ে যাওয়ার পর বাঘটি তাঁকে কামড়ে হত্যা করে।

মঙ্গলবার দুপুরে বহু দর্শনার্থীর সামনে এই রোমহর্ষক ঘটনা ঘটে। বাঘের আক্রমণে মাকসুদের নিহত হওয়ার ঘটনা এক দর্শনার্থী তাঁর মোবাইল ফোনে ধারণ করেন।

প্রত্যক্ষদর্শীদের বরাত দিয়ে এনডিটিভি জানায়, বেলা একটার দিকে মাকসুদ ১৮ ফুট উঁচু প্রাচীর থেকে বাঘের থাকার জায়গার পাশে শুকনো পরিখায় পড়ে যান। কয়েকজন দাবি করেন, দর্শনার্থীরা যেখান থেকে বাঘ দেখতে পান সেই সীমানাপ্রাচীর খুবই নিচু হওয়ায় মাকসুদ পড়ে গেছেন।এক দর্শনার্থীর মোবাইল ফোনে ধারণ করা ভিডিও ফুটেজে দেখা যায়, পরিখার মধ্যে ভয়ে জড়োসড়ো হয়ে কাঁপছিলেন মাকসুদ। তাঁর কয়েক ফুট সামনেই বাঘটি দাঁড়িয়ে ছিল। এ সময় মাকসুদকে হাতজোড় করে কাঁপতে দেখা যাচ্ছিল।

https://www.youtube.com/watch?v=GvrJdwedVpU

এই দৃশ্য মোবাইল ফোনে ধারণকারী বিট্টু বলেন, বাঘটিকে পাথর ছোড়ার আগ পর্যন্ত এটি ওই ব্যক্তির ওপর আক্রমণ করেনি। ওই তরুণ যখন বাঁচার জন্য দৌড় দেন তখনই বাঘটি তাঁর ঘাড় কামড়ে ধরে নিয়ে যায়।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, মৃত্যুর আগে ওই তরুণ ১০-১৫ মিনিট ভীষণ যন্ত্রণা ভোগ করেছেন। নিরাপত্তাকর্মীরা তাঁকে বাঁচানোর কোনো চেষ্টাই করেননি।

প্রত্যক্ষদর্শীরা দাবি করেন, যেসব বন্দুক থেকে চেতনানাশক ওষুধ ছুড়ে পশুকে অচেতন করা যায় তেমন বন্দুক বা প্রয়োজনীয় লোকজনকে ডেকে পাঠানোর মতো ওয়্যারলেস সেট নিরাপত্তাকর্মীদের কাছে ছিল না। তবে চিড়িয়াখানা কর্তৃপক্ষ এ অভিযোগ অস্বীকার করেছে।

চিড়িয়াখানার পরিচালক অমিতাভ অগ্নিহোত্রি বলেন, ওই তরুণ বাঘের থাকার জায়গার সীমানা বেষ্টনী অতিক্রম করে লাফ দিয়েছেন। তিনি আরও দাবি করেন, ওই সীমানা বেষ্টনী ‘একেবারে নিরাপদ’। আর কোনো দর্শনার্থীর পক্ষেই সীমানা দেয়াল অতিক্রম না করে সেই পরিখায় পৌঁছানো সম্ভব নয়।

বার্তা সংস্থা এপি জানায়, অবশেষে বাঘকে ভয় দেখিয়ে একটি ছোট খাঁচায় ঢোকায় চিড়িয়াখানা কর্তৃপক্ষ। কিন্তু তার পরও ঘটনাস্থলে মাকসুদের মৃতদেহ দুই ঘণ্টা পড়েছিল।



মন্তব্য চালু নেই