থাইল্যান্ডে শতাধিক রাজনীতিকের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা

থাইল্যান্ডে ১৫৫ ব্যক্তির দেশ ত্যাগে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে দেশটির সেনাবাহিনী। এ তালিকায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইংলাক সিনাওয়াত্রাসহ অন্যান্য রাজনৈতিক নেতাকর্মী রয়েছেন।

এর আগে বৃহস্পতিবার রক্তপাতহীন অভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে ক্ষমতা দখল করে সেনাবাহিনী। ক্ষমতা দখলের পরপরই সেনা প্রধান প্রেয়াথ চ্যান ওচা রাত ১০ টা থেকে ভোর ৫ টা পর্যন্ত কার্ফু জারি এবং সংবিধান স্থগিত করে মন্ত্রীদের সেনাবাহিনীর কাছে রিপোর্ট করার নির্দেশ দেন। ১৯৩২ সালে রাজতন্ত্রের অবসানের পর দেশটিতে এ নিয়ে ১৯ বারের মত সামরিক অভ্যুত্থান ঘটল।

এ ঘটনার প্রতিক্রিয়ায় মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রী জন কেরি বলেছেন, সেনা হস্তক্ষেপের কোন যুক্তি নেই। এ ঘটনা যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে দেশটির সম্পর্কে নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে।

জাপানের পক্ষ থেকে গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা পুনরায় চালুর দাবি জানানো হয়েছে। কার্ফু জারির পর থেকে জাপানি কোম্পানি টয়োটা এবং হোন্ডার রাতের শিফটের কাজ বন্ধ রয়েছে।

এদিকে থাইল্যান্ডে ভ্রমণকারী বিদেশীদের নিরাপত্তা জোরদার করা হবে- প্রেয়াথ চ্যান ওচার এমন আশ্বাসের পরেও মালয়েশিয়া তার নাগরিকদের জরুরী প্রয়োজন ছাড়া দেশটিতে ভ্রমণ না করার পরামর্শ দিয়েছে।

ব্রিটিশ রাষ্ট্রদূত মার্ক কেন্টও দেশটিতে অবস্থানরত ব্রিটিশ নাগরিকদের সতর্কতার সঙ্গে চলাচল করার পরামর্শ দিয়েছেন।

২০০৬ সালে তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী থাকসিন সিনাওয়াত্রাকে সরিয়ে সেনাবাহিনী ক্ষমতা দখল করার পর থেকেই থাইল্যান্ডে রাজনৈতিক সংকট শুরু হয়।



মন্তব্য চালু নেই