তুরস্কে অভ্যুত্থান চেষ্টার নেপথ্যে যুক্তরাষ্ট্র!

তুরস্কে অভ্যুত্থান চেষ্টার নেপথ্যে যুক্তরাষ্ট্র ছিল বলে দাবি করেছেন তুর্কি শ্রমমন্ত্রী। তবে এ দাবি প্রত্যাখ্যান করেছেন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী জন কেরি।

অভ্যুত্থান চেষ্টার নেপথ্যে যুক্তরাষ্ট্রের হাত ছিল বলে তুরস্কে যে গুঞ্জন ছড়িয়ে পড়েছে, তার বিরুদ্ধে সতর্কতা উচ্চারণ করেছে মার্কিন কর্তৃপক্ষ। জন কেরি বলেছেন, এ ধরনের অভিযোগ সম্পূর্ণ ভুয়া এবং বিষয়টি দুই দেশের সম্পর্কে নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে।

প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ান পেনসিলভানিয়ায় স্বেচ্ছায় নির্বাসিত ধর্মীয় নেতা ফেতুল্লাহ গুলেনকে তুরস্কের কাছে হস্তান্তরের আহ্বান জানিয়েছেন। ফেতুল্লাহ গুলেনকে সামরিক অভ্যুত্থানের পরিকল্পনাকারী হিসেবে অভিযুক্ত করেছেন এরদোয়ান।

পেনসিলভানিয়ায় নিজ বাসা থেকে গণমাধ্যমের উদ্দেশে ফেতুল্লাহ গুলেন বলেন, এ ঘটনার সঙ্গে তার কোনো সম্পর্ক নেই। গত পাঁচ দশকে তুরস্কে কয়েক বার অভ্যুত্থান হয়েছে।

শুক্রবার এরদোয়ান সরকারের পতনের উদ্দেশে অভ্যুত্থান চালায় দেশটির সামরিক বাহিনীর একটি দলছুট অংশ। ইস্তাম্বুলের প্রধান সেতুগুলো এবং রাজধানী আঙ্কারায় পার্লামেন্ট ভবনে অবস্থান নিয়ে তান্ডব চালায় তারা। এতে অবকাঠামোর ক্ষয়ক্ষতিসহ আড়াই শতাধিক মানুষের প্রাণহানি হয়েছে।

শনিবার পর্যন্ত এর রেশ ছিল। এ সময়ে দেশটিতে ১০৪ অভ্যুত্থান চেষ্টাকারী এবং ১৬১ জন প্রতিরোধকারী নিহত হন। আহত হয়েছে দেড় হাজারের বেশি মানুষ। অভ্যুত্থানকে কেন্দ্র করে তুরস্কে ৩ হাজারের বেশি মানুষকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। বরখাস্ত করা হয়েছে ২ হাজার ৭০০ বিচারককে।

শনিবার তুর্কি সরকার রাষ্ট্রের নিয়ন্ত্রণ নিতে সক্ষম হয়। এ দিন সন্ধ্যায় পার্লামেন্টে জরুরি অধিবেশন বসে এবং সেখান থেকে সর্বদলীয় ঐক্যের ডাক দেওয়া হয়।

ফেতুল্লাহ গুলেনের নেতৃত্বাধীন হিজমেত মুভমেন্টের সঙ্গে সংশ্লিষ্টদের শনিবার গ্রেপ্তার করা হয়। তবে ধরপাকড় এখনো অব্যাহত রয়েছে। গুলেনকে সমর্থকদের বেছে বেছে আটক করা হচ্ছে।

এরদোয়ানের এক সময়ের সহযোগী ফেতুল্লাহ গুলেনের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহ ও সরকার পতনের ষড়যন্ত্রের অভিযোগ আনেন এরদোয়ান। অভ্যুত্থান চেষ্টার পর এরদোয়ান বলেছেন, কোনো সন্ত্রাসীকে হস্তান্তরে যুক্তরাষ্ট্র অনুরোধ করলে তুরস্ক তা ফেরায়নি। এখন তারা ফেতুল্লাহ গুলেনকে ফিরিয়ে দিক। উল্লেখ্য, তুরস্ক ও যুক্তরাষ্ট্র ন্যাটোর সদস্য।

মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী জন কেরি এরদোয়ানের আহ্বানের প্রতিক্রিয়ায় বলেছেন, ফেতুল্লাহর বিরুদ্ধে যথাযথ প্রমাণ দিলে অবশ্যই উপযুক্ত পদক্ষেপ নেবে যুক্তরাষ্ট্র।



মন্তব্য চালু নেই