ঠোঁট সেলাই করে শরণার্থীদের অভিনব প্রতিবাদ

বেঁচে থাকার আশায় নানা প্রতিকূলতা পেরিয়ে ইউরোপের মাটিতে পা রাখলেও আশ্রয় পাচ্ছে না শরণার্থীরা। ইউরোপীয় দেশগুলোর এই বিদ্বেষমূলক অবস্থানের প্রতিবাদে নিজেদের ঠোঁট সেলাই করে অনশনে বসেছে অনেক শরণার্থী।
আলজাজিরার মঙ্গলবারের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গ্রিস-মেসিডোনিয়া সীমান্তে অনশনে বসেছে শরণার্থীদের একটি দল। প্রতিবাদস্বরূপ তারা নিজেদের ঠোঁট সেলাই করে রেখেছে।
ওই বিক্ষোভকারীরা ইদোমানি সীমান্তে আটকে থাকা হাজারো শরণার্থীর অংশ। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলোতে নাইলনের সূতা দিয়ে বাঁধা প্রতিবাদকারীদের ছবি ছড়িয়ে পড়েছে। এদের মধ্যে ইরানী ও কুর্দিরাও রয়েছে।
গত ১৭ নভেম্বর স্লোভেনিয়া, মেসিডোনিয়া, ক্রোয়েশিয়া ও সার্বিয়া সিদ্ধান্ত নেয় কেউ সিরিয়া, আফগানিস্তান বা ইরাকের নাগরিক হিসেবে কাগজপত্র দেখাতে ব্যর্থ হলে তাকে শরণার্থী হিসেবে প্রবেশ করতে দেওয়া হবে না। বলকান রাষ্ট্রগুলোর ওই সিদ্ধান্তের পরই দেশগুলোর সীমান্তে আটকা পড়ে হাজার হাজার শরণার্থী।
জাগরেব ভিত্তিক ‘আর ইউ সিরিয়াস’-এর মুখপাত্র মিলেনা জাজোভিচ জানিয়েছেন, সিরিয়া, ইরাক ও আফগানিস্তান ছাড়া অন্য দেশের নাগরিকদের না নেওয়ায় ইদোমানি সীমান্তে ইরানী, মরোক্কান এবং অন্যান্য দেশের অন্তত ২ হাজার নাগরিক আটকা পড়েছে।
সেখানকার অবস্থা এখন খুবই শোচনীয় ও গত শনিবার এক পাকিস্তানী আত্মহত্যার চেষ্টা করে বলেও জানিয়েছেন মিলেনা। মানবেতর জীবনযাপন করা ওই আশ্রয়প্রার্থীদের রক্ষায় দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন তিনি।
প্রচণ্ড শীতের কারণে আশ্রয়প্রার্থীদের শারীরিক অবস্থা দ্রুত খারাপের দিকে যাচ্ছে উল্লেখ করেছে মানবাধিকার সংস্থাগুলো। এ অবস্থায় আশ্রয়প্রার্থীদের ওপর সামরিক বাহিনীর সদস্যদের আক্রমণের নিন্দাও জানিয়েছে তারা।
ওদিকে বলকান রাষ্ট্রগুলোর পক্ষ থেকে সিরিয়া, আফগানিস্তান ও ইরাকের বাইরের লোকদের ‘অর্থনৈতিক অভিবাসী’ হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে।
মন্তব্য চালু নেই