ঠাকুরগাঁও পৌর নির্বাচন : প্রক্সি প্রার্থী নিয়ে বিপাকে বিএনপি!
নির্বাচন কমিশনের যাচাই বাছাইয়ে দলীয় প্রার্থীর মনোনয়ন বাতিল হতে পারে এমন শঙ্কায় স্থানীয় বিএনপি প্রক্সি হিসেবে দুই প্রার্থীর মনোনয়ন জমা দেয়া হয়েছিল। তবে যাচাই বাছাইয়ে দু’জনের মনোনয়ন বৈধ ঘোষণার পর প্রক্সি প্রার্থী এখন আর নির্বাচন থেকে সরে আসতে চাইছেন না। এতে বেশ বিপাকে পড়েছে ঠাকুরগাঁও জেলা বিএনপি। নেতারা বলছেন ‘এ যেন খাল কেটে কুমির আনা হয়েছে।’
দলীয় সূত্রে জানা যায়, দলের মনোনীত প্রার্থী বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের ছোট ভাই ও জেলা বিএনপির সহ-সভাপতি মির্জা ফয়সল আমীন। স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছিলেন জেলা বিএনপির আরেক সহ-সভাপতি চৌধুরী মো. গোলাম সারোয়ার। তবে যাচাই বাছাইয়ে দু’জনের মনোনয়নপত্রই বৈধ হিসেবে গৃহীত হয়। এরপর প্রক্সি প্রার্থী গোলাম সারোয়ার নির্বাচন চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দেন। এ নিয়ে এখন বিএনপিতে চলছে অভ্যন্তরীণ টানপোড়েন।
প্রক্সি প্রার্থী হিসেবে জেলা বিএনপি নেতাদের দেয়া অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছেন স্বতন্ত্র প্রার্থী গোলাম সারোয়ার। উল্টো স্থানীয় বিএনপি নেতারা মির্জা ফখরুল ইসলামের হয়ে মিথ্যাচার করছেন বলেও অভিযোগ করেন তিনি।
বিএনপি থেকে পদত্যাগ করেই স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচনে অংশ নিয়েছেন দাবি করে গোলাম সারোয়ার বলেন, ‘আমি বিএনপি থেকে পদত্যাগ করেই মেয়র প্রার্থী হয়েছি। ভোটারদের অনুরোধে আমি নির্বাচন চালিয়ে যেতে চাচ্ছি। দলের প্রার্থী মনোনীত করতে আমার প্রতি যে অবজ্ঞা করা হয়েছে, পৌরবাসী আমাকে জয়ী করে এর সমুচিত জবাব দেবেন।’
এ ব্যাপারে জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মো. তৈমুর রহমান জানান, দলের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী পৌরসভা নির্বাচনে বিএনপির দুই প্রার্থী মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন। তাদের মধ্যে মির্জা ফয়সল আমীন দলীয়ভাবে আর সারোয়ার প্রক্সি প্রার্থী হিসেবে মনোনয়নপত্র জমা দেন।
দু’জনের মনোনয়নপত্র দাখিলের ব্যাপারে তিনি বলেন, ‘অনেক সময় বানান ভুলের কারণেও মনোনয়নপত্র বাতিল হয়ে যায়। এজন্যই প্রক্সি হিসেবে তাকে রাখা হয়েছিল।’
নাম প্রকাশ না করার শর্তে বিএনপির এক নেতা জানান, প্রক্সি দিতে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে সারোয়ার মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছিলেন। কথা ছিল মির্জা ফয়সলের মনোনয়ন বৈধ হলে তিনি প্রার্থিতা প্রত্যাহার করবেন। কিন্তু এখন নিজেই ভোট চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন। এটা অনেকটা দলের জন্য খাল কেটে কুমির আনার মতো হয়েছে।
এ ব্যাপারে দল মনোনীত প্রার্থী মির্জা ফয়সল আমীন বলেন, ‘দল আমাকে মনোনয়ন দিয়েছে। দলের সিদ্ধান্তেই সারোয়ারকেও মনোনয়নপত্র জমা দিতে বলা হয়েছিল। এখন আমার এবং তার মনোনয়নপত্র বৈধ হয়ে গেছে। তাই আশা করি, দলীয় সিদ্ধান্তের আলোকে সারোয়ার তার প্রার্থিতা প্রত্যাহার করবেন।’
মন্তব্য চালু নেই