ট্রাম্পের মুসলিম নিষেধাজ্ঞা আটকে দিলেন আদালত

সিরিয়াসহ সাতটি মুসলিম প্রধান দেশের নাগরিকদের যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশের ওপর প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের জারি করা নিষেধাজ্ঞা সাময়িক স্থগিত করেছেন নিউইয়র্কের ব্রুকলিক ফেডারেল আদালত।

শনিবার দ্য আমেরিকান সিভিল লিবার্টিস ইউনিয়নের (এসিএলইউ) এক আবেদনে আদালতের বিচারক অ্যান ডানলি এ আদেশ দেন। খবর বিবিসির।

শুক্রবার অভিবাসন সীমিত করতে এক নির্বাহী আদেশে স্বাক্ষর করেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প।

এই আদেশ অনুসারে, যুক্তরাষ্ট্রের শরণার্থী গ্রহণ কর্মসূচি চার মাস স্থগিত করা হয়েছে। আর ৯০ দিনের জন্য সিরিয়াসহ ছয়টি মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ট দেশের লোকজনের যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশের ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে।

নিষেধাজ্ঞার আওতায় পড়া অন্য মুসলিম দেশগুলো হল- ইরান, ইরাক, লিবিয়া, সোমালিয়া, সুদান ও ইয়েমেন।

তবে এ নিষেধাজ্ঞা জারির পর বিশ্বব্যাপী নিন্দার ঝড় ওঠে। যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন শহর ও বিমানবন্দরের বাইরে বিপুলসংখ্যক মানুষ প্রতিবাদ করেন।

ট্রাম্পের এ নির্বাহী আদেশের বিরুদ্ধে মামলা করে দ্য আমেরিকান সিভিল লিবার্টিস ইউনিয়ন (এসিএলইউ)।

সংগঠনটি বলছে, আদেশ জারির পর সাতটি দেশের ১০০ থেকে ২০০ ভিসাধারী নাগরিক বিমানবন্দরে অথবা ট্রানজিটে আটকা পড়েন। যুক্তরাষ্ট্রের বেশ কয়েকটি রাজ্যে বিমানবন্দরে শত শত মানুষ বিক্ষোভ শুরু করে। এ পরিপ্রেক্ষিতে আদালত এ অাদেশ দেন।

অভিবাসী অধিকার প্রকল্পের আইনবিষয়ক উপপরিচালক লি গের্লান্ট আদালতে অভিবাসীদের পক্ষে যুক্তিতর্ক উপস্থাপন করেন। এ সময় আদালতের বাইরে অনেকে তাকে সমর্থন জানান।

গেলার্ন্ট পরে উপস্থিত জনতার উদ্দেশে বলেন, যুক্তরাষ্ট্রে এসে কেউ যাতে আটকে না পড়ে আদালত সে ব্যবস্থা নেবেন। আদালত সরকারকে আটকে পড়াদের নামের তালিকা দিতে নির্দেশ দিয়েছেন।

আগামী ফেব্রুয়ারি মাসের শেষে এই মামলার শুনানির পরবর্তী দিন ধার্য করেছেন।



মন্তব্য চালু নেই