ট্রাম্পের পার্টিতে থাকত মাদক ও যৌনকর্মী

মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে রিপাবলিকান দলীয় প্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্পের বিরুদ্ধে একের পর এক যৌন হয়রানি ও কেলেঙ্কারির অভিযোগ উঠেছে। এবার নতুন একটি অভিযোগ উঠেছে মার্কিন এ ধনকুবেরের বিরুদ্ধে।

ডেইলি বিস্টের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ট্রাম্প অতীতে একাধিক ‘সেক্স পার্টি’-র আয়োজন করতেন, যেখানে কোকেনের মতো মাদক সেবনের ব্যবস্থাও থাকত। পার্টিতে আমন্ত্রিত অতিথিদের খুশি করতে আনা হতো উঠতি মডেল ও যৌনকর্মী। এমনকি বিকৃতমনষ্ক অতিথিদের জন্য থাকত অল্প বয়সী তরুণী।

১৯৮৮ থেকে ১৯৯৫ সাল পর্যন্ত এসব পার্টি হতো ট্রাম্পের মালিকানায় থাকা ম্যানহাটনের বিলাসবহুল হোটেল প্লাজায়। হোটেলের তৎকালীন দুই কর্মী এই তথ্য ফাঁস করেছেন। এদের মধ্যে একজনের কাজ ছিল পানীয় ঠিকমতো তৈরি হচ্ছে কি না, তা তদারকি করে দেখা। অপরজনের কাজ ছিল সুন্দরী অতিথিদের সঙ্গে ট্রাম্পের ছবি তোলা।

পানীয় দেখাশোনার দায়িত্বে থাকা কর্মী এক সাক্ষাৎকারে বলেছেন, রাত একটু গভীর হলেই ট্রাম্পের নির্দেশে কোকেন সরবরাহ শুরু হতো। যারা যৌনতায় আগ্রহী, তাদের জন্য থাকত হোটেলের আলাদা ঘর। প্রতিটা ঘর ঘুরে ট্রাম্প দেখতেন কোথায় সুন্দরী নারীরা আছেন। যৌনতার ব্যাপারে কোনো সংকোচ ছিল না ট্রাম্পের। অনেক সময় হোটেল ঘর থেকে একাধিক সুন্দরী নারীকে বেছে নিয়ে নিজের আলাদা ঘরে চলে যেতেন তিনি।

সাবেক এই চিত্রগ্রাহকের দাবি, ট্রাম্প প্রায় প্রতি পার্টির শুরুতেই ঘোষণা দিতেন, উপভোগ করার প্রায় সব সরঞ্জামই এই পার্টিতে রয়েছে। পৃথক ঘরে মাদক, যৌনকর্মী এবং নাবালিকা মডেল রাখা হয়েছে। অতিথিরা যেন পছন্দ মতো ঘর বেছে নেন।

ট্রাম্পের বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ যে একেবারেই মিথ্যা নয়; তার প্রমাণ মিলেছে সাবেক মার্কিন মডেল গ্যারি লুসেশির মন্তব্যে। তিনি বলেছেন, ট্রাম্পের পার্টির জন্য সকলেই অপেক্ষা করে থাকত। শ্রেষ্ঠ সুন্দরীদের সঙ্গ পাওয়া যেতো ওখানে গেলে। অনেক নাবালিকাকেও দেখেছি। তবে আমি নাবালিকা কিংবা মাদকের থেকে দূরত্ব বজায় রাখতাম।



মন্তব্য চালু নেই