ট্রাম্পের জয়ের পেছনে ফেসবুকের ভুল সংবাদ নয়, ভোটাররাই দায়ী

মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ডোনাল্ড ট্রাম্প ও হিলারি ক্লিনটনের মধ্যে যুদ্ধ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমেও গড়িয়েছিল। এ সময় হিলারি নানা কারণে পিছিয়ে পড়েছিলেন। আর এর পেছনে অনেকেই ফেসবুকে প্রচারিত নানা ভুল ও ভুয়া সংবাদকে দায়ী করেছেন। এক প্রতিবেদনে বিষয়টি জানিয়েছে ইন্ডিপেনডেন্ট।

ফেসবুকের বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছে, মার্কিন নির্বাচন ঘিরে ফেসবুকে ভুয়া তথ্য দ্রুত ছড়িয়েছে এবং ফেসবুকে অনেক শেয়ার হয়েছে। সে তুলনায় আসল তথ্য কম শেয়ার হয়েছে।

মার্কিন নাগরিকদের কাছে এখন সংবাদের প্রধান উৎস ফেসবুক। এর নিউজ ফিড নকশা করা হয় ব্যবহারকারীদের আগ্রহ তৈরি হবে এমন ব্যবহারকারীর কনটেন্ট দিয়ে।

বছরের শুরুতে ট্রাম্প-বিরোধী হিসেবে ফেসবুকের সমালোচনা হয় এবং ট্রেন্ডিং স্টোরির ক্ষেত্রে ট্রাম্পের বিপক্ষে থাকার অভিযোগ ওঠে ফেসবুক-কর্মীদের। এ অভিযোগ অস্বীকার করে ফেসবুক-কর্মীদের অপসারণ করে জনপ্রিয় খবর নির্বাচনের বিষয়টি অ্যালগরিদমের ওপর ছেড়ে দেওয়ার ঘোষণা দেয়। এর ফলে অনেক ভুয়া খবর ফেসবুক ব্যবহারকারীর টাইমলাইনে চলে আসে।

মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ট্রাম্পের জয়ে ফেসবুকের ভূমিকার কথা বলাকে ‘পাগলামো’ বলে অভিহিত করেছেন ফেসবুকের সিইও মার্ক জার্কারবার্গ। ফেসবুকে প্রকাশিত ভুয়া খবর ডোনাল্ড ট্রাম্পের উত্থানে সহায়তা করেছে- এ ধরনের সমালোচনার মুখে জাকারবার্গ শক্তভাবে ফেসবুকের পক্ষে দাঁড়িয়েছেন।

যুক্তরাষ্ট্রের ক্যালিফোর্নিয়ায় সম্প্রতি অনুষ্ঠিত ‘টেকোনমি’ শীর্ষক সম্মেলনে জাকারবার্গ বলেন, ডোনাল্ড ট্রাম্পের উত্থানে ফেসবুককে দায়ী করা যাবে না। তিনি বলেন, ”ফেসবুকে ভুয়া খবর মার্কিন নির্বাচনকে প্রভাবিত করেছে এটা উন্মাদদের ধারণা। এটা যদি কেউ মনে করেন, তবে ট্রাম্পের সমর্থকরা নির্বাচনে যে বার্তা দিয়েছেন, তা অনুধাবন করতে তারা ব্যর্থ বলে মনে করি।’

বিষয়টিতে ভারসাম্য রক্ষার বিষয়ে জাকারবার্গ বলেন, ‘মানুষের চাওয়ার বিষয়টিই কেবল শুনছে ফেসবুক।’ আর এতে তার প্রতিষ্ঠানের কোনো ভূমিকা নেই বলেও দাবি তার।



মন্তব্য চালু নেই