জিম্মি মার্কিন তরুণীকে ‘নিয়মিত ধর্ষণ করতেন’ আইএস নেতা

ইসলামিক স্টেটের (আইএস) হাতে জিম্মি মার্কিন ত্রাণকর্মী যাকে ফেব্রুয়ারিতে হত্যা করা হয়, সেই তরুণী কেইলা মুলারকে নিয়মিত ‘ধর্ষণ করতেন’ সশস্ত্র গোষ্ঠীটির প্রধান নেতা।

মার্কিন কর্মকর্তারা এবিসি নিউজকে বলেছেন, মুলারকে (২৬) বহুদিন ধরেই ধর্ষণ করেছেন আবু বকর আল-বাগদাদী।

যুক্তরাষ্ট্রের সন্ত্রাসবিরোধী সেলের কর্মকর্তারা জুনেই এ বিষয়টি মুলারের পরিবারকে অবহিত করেছিলেন। মুলারের মা-বাবা এবিসি নিউজকে সেই খবর নিশ্চিত করেছেন।

২০১৩ সালে সিরিয়ার আলেপ্পোয় কাজ করার সময় আইএসের হাতে জিম্মি হন মুলার। জর্দানী বিমান হামলায় তিনি নিহত হয়েছেন বলে দাবি করেছিল আইএস, তবে যুক্তরাষ্ট্র মুলার হত্যার জন্য আইএসকেই দায়ী করে আসছে।

মুলারের বাবা কার্ল ও মা মার্শা এবিসিকে বলেছেন, ‘আমাদের বলা হয়েছিল কেইলাকে নির্যাতন করা হয়েছিল। বাগদাদী তাকে নিজের সম্পত্তি ভাবতেন। জুনে আমাদের এ তথ্য দিয়েছিল সরকার।’

মার্কিন কর্মকর্তাদের বরাত দিয়ে এবিসি বলেছে, ত্রাণকর্মী তরুণীকে আইএসের আরেক শীর্ষ নেতা আবু সায়াফের বাসায় নিয়ে গিয়ে ধর্ষণ করেছেন বাগদাদী।

আবু সায়াফ ছিলেন আইএসের তেল-গ্যাস বিভাগের প্রধান। মে মাসে যুক্তরাষ্ট্রের বিশেষ বাহিনীর অভিযানে তিনি নিহত হন।

সায়াফের বাসায় নিয়মিত মুলারকে যৌন নির্যাতন করতেন বাগদাদী। কর্মকর্তারা বলছেন, ওই বাড়িতে মে মাসের অভিযানে উদ্ধার হওয়া দুই ইয়াজিদী বালিকার কাছ থেকে তারা এই তথ্য উদ্ঘাটন করেছেন।

আইএসের গোপন তথ্য

আরও জানা গেছে, সায়াফের স্ত্রী উম্মে সায়াফ আইএসের সদস্য ছিলেন এবং তিনি যোদ্ধাদের জন্য যৌনদাসী হিসেবে ইয়াজিদী নারীদের দলে ভেড়াতেন।

উম্মে সায়াফও ওই অভিযানে যুক্তরাষ্ট্রের হাতে ধরা পড়েন। উদ্ধার হয় অনেক ইয়াজিদী নারী। তাদের তথ্যের সূত্র ধরেই উম্মে সায়াফকে জিজ্ঞাসাবাদ করে ‘আইএসের গোপন সব তথ্য’ উদ্ঘাটন করে মার্কিন কর্তৃপক্ষ। কর্মকর্তাদের দাবি, আইএসের বড় নেতারা কে কোথায় থাকেন, গোপনে কী কী কার্যক্রম চালান— সবই বলে দিয়েছেন উম্মে সায়াফ। তাকে গত সপ্তাহে বিচারের জন্য উত্তর ইরাকের কুর্দি কর্তৃপক্ষের কাছে হস্তান্তর করেছে যুক্তরাষ্ট্র।



মন্তব্য চালু নেই