জাপানিরা বেশিদিন বাঁচে কেন
বিশ্বের সবচে বৃদ্ধ ব্যক্তি অ্যালেক্সজান্ডার ইমিচ গত বছর জুনে নিউইয়র্কে মৃত্যুবরণ করেন। তিনি জন্মগ্রহণ করেছিলেন ১৯০৩ সালে। তার মৃ্ত্যুর পর তার স্থান দখল করে নিয়েছেন সাকারি মোমোরি।
সাকারি মোমোরি বিশ্বের এমন একটি দেশে জন্মগ্রহণ করেছেন যে দেশটি বৃদ্ধ লোকে পরিপূর্ণ এবং দেশটির নাম হচ্ছে জাপান।
জাপানের জন্য বিশ্বের সর্বোচ্চ বয়সী মানবের স্থান দখল করা খুব ব্যতিক্রম কিছু নয় কারণ দেশটিতে প্রচুর বয়স্ক লোক রয়েছে এবং এ দেশটিই সর্বোচ্চ গড় আয়ুর অধিকারী।
জাপানের নারীদের গড়আয়ু ৮৭ বছর এবং পুরুষের গড় আয়ু ৮০ বছর। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার তথ্যানুযায়ী জাপানের লোকেরা ৭৫ বছর পর্যন্ত কোন ধরনের দূরারোগ্য রোগে আক্রান্ত হওয়া ছাড়াই বেঁচে থাকে।
বিজ্ঞানীরা জাপানীদের এই দীর্ঘায়ুর কারণ হিসেবে জাপানিদের খাদ্যাভ্যাসের কথা বলছেন। অনেক জাপানি আছেন যারা সারাটা জীবন সুশি ও শাকসবজি খেয়েই কাটিয়ে দেন। এছাড়া আধুনিক জাপানিদের প্রচণ্ড কাজের চাপের মাঝেও স্বস্তি এনে দেয় তাদের উচ্চমানের ও কম ক্যালরিযুক্ত খাবার। মাছ আর শাকসবজি দিয়ে তৈরি তাদের অসাধারণ খাবারগুলো তাদের জীবনের দৈর্ঘ্য অনেক বাড়িয়ে দেয়। আর এ খাবারগুলোর বেশিরভাগই সামান্য পরিমাণে দৃষ্টিনন্দন করে সাজানো হয়।
বিশেষজ্ঞদের কেউ কেউ জানাচ্ছেন, জাপানিদের প্রচলিত এ খাবারগুলোতে পেটের ক্যান্সার ও নানা জটিলতার ঝুঁকি কম থাকে। এসব খাবারে থাকে সামুদ্রিক উদ্ভিদ, শামুক ও অক্টোপাস।
তবে জাপানিদের দীর্ঘজীবনের একমাত্র কারণ কিন্তু কেবল খাবারই নয়। দ্বিতীয় যে কারণটি জাপানিদের দীর্ঘজীবন আনতে সহায়তা করে তা হলো বৃদ্ধদের মানসিক চাপ কম থাকা। জাপানি বুড়ো-বুড়িরা তাদের সন্তানদের কল্যাণে বৃদ্ধ বয়সে মানসিক শান্তিতে থাকে। তাদের সাধারণত আয়-ব্যয়, বিভিন্ন বিল ইত্যাদি নিয়ে চিন্তা করতে হয় না।
ঐতিহ্যগতভাবেই জাপানিরা বয়স্কদের যত্ন করে। আর বয়স্করাও নাতি-নাতনিদের সঙ্গে সময় কাটাতে অভ্যস্ত।
সূত্র: বিজনেস ইনসাইডার
মন্তব্য চালু নেই