জঙ্গিদের মাথা কাটতে তৈরি বোরখা বাহিনী

বোরখা ঢাকা মুখ। হাতে বন্দুক৷ যখন তখন সেই বন্দুক গর্জে উঠতে পারে৷ লক্ষ্য-জঙ্গি৷ সন্তানদের কোনওমতেই জঙ্গি হতে দেব না৷ তাতে কত রক্ত ঝরবে তা দেখতে চান আফগান মহিলারা৷ ঘর সংসার সামলে এবার তাঁরা সরাসরি জঙ্গি বিরোধী লড়াইয়ে সামিল৷ তাঁদের প্রতিপক্ষ তালিবান ও ইসলামিক স্টেট জঙ্গি সংগঠন৷ প্রয়োজনে তারা জঙ্গিদের মাথা কাটতেও তৈরি।

আফগানিস্তানের উত্তরাংশের বিশাল এলাকায় সরকারের কোনও কর্তৃত্ব নেই৷ বেশকিছু অংশ নতুন করে তালিবান দখলে চলে গিয়েছে৷ একইসঙ্গে ইসলামিক স্টেটের মতো জঙ্গি সংগঠনও শক্তিশালী হচ্ছে৷ দু তরফা জঙ্গি আক্রমণের মুখে পড়েছে আফগানিস্তান সরকার৷ এমনই পরিস্থিতিতে ধর্মীয় কড়া

শাসনকে শিকেয় তুলে দিলেন আফগান মহিলারা৷ তাঁরা বন্দুক হাতে লড়াইয়ের জন্য প্রস্তুত৷ জানাচ্ছে Voice of America (VOA).

রিপোর্টে বলা হয়েছে, জঙ্গি মোকাবিলায় উত্তর আফগানিস্তানের জৌজান প্রদেশে শতাধিক মহিলারা সরাসরি লড়াইয়ের জন্য প্রস্তুত৷ জৌজান প্রদেশটি আফগানিস্তানের উত্তরাঞ্চলে অবস্থিত৷ এলাকাটি তুর্কমেনিস্তান লাগোয়া৷ আফগানিস্তানের উত্তর ও উত্তর পশ্চিম এলাকার সীমান্তে মিশে আছে তুর্কমেনিস্তান, তাজিকিস্তান, উজবেকিস্তান৷ উত্তর দিকে অল্প এলাকা চিন ও পূর্বদিকে পাকিস্তান৷ উত্তর পশ্চিম অংশেই বেশি সক্রিয় জঙ্গিরা।

VOA-কে দেওয়া সাক্ষাৎকারে মহিলা বাহিনীর কমান্ডার মামলাকাত জানিয়েছেন, ওরা (জঙ্গি) আমাদের বাঁচার অধিকার কেড়ে নিচ্ছে, সন্তানদের হত্যা করছে৷ এবার পালটা মার দেওয়ার পালা৷ প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ২০০১ সালে তালিবান শাসনের পতন হওয়ার পর বেশকিছু আফগান মহিলা পুলিশ ও সেনাবাহিনীতে যোগ দিয়েছেন৷ কিন্তু জঙ্গি অধ্যুষিত এলাকায় এই প্রথম মহিলা বাহিনী গড়ে উঠেছে৷

গোয়েন্দা রিপোর্ট বলছে, জৌজানে তালিবান হামলার পাশাপাশি নানগারহার প্রদেশে শক্তি বাড়িয়েছে ইসলামিক স্টেট৷ ইরাক ও সিরিয়ার মাটিতে লাগাতার মার খাওয়া আইএস এশিয়ার মাটিতে নতুন করে শক্তি বাড়িয়ে তুলতে চায়৷ তাদের লক্ষ্য দক্ষিণ এশিয়ায় সন্ত্রাসবাদ কায়েম করা৷ সেই কারণ আফগানিস্তান তাদের অন্যতম লক্ষ্য৷- কলকাতা২৪



মন্তব্য চালু নেই