ছাত্রীদের ড্রেসচেঞ্জে অদ্ভুত নিয়মে বিক্ষোভ!

ভারতের কেরালা রাজ্যের কোল্লাম জেলার উপাসনা নার্সিং কলেজের অধ্যক্ষ ছাত্রীদের পোশাক পরিবর্তনের সময় দরজা খোলা রাখার নির্দেশ দিয়েছেন। যিনি নিজেও অবশ্য একজন নারী। ছাত্রীরা পর্নোগ্রাফিতে আসক্ত এবং সমকামিতায় লিপ্ত, এমন সন্দেহের জেরে ছাত্রীনিবাসে নিজকক্ষে পোশাক পরিবর্তনের সময় দরজা বন্ধ না করার এ নির্দেশ দেন।

অধ্যক্ষ উদ্ভট নির্দেশ জারি করেই থেমে নেই। কোনো ছাত্রী এ নির্দেশ না মানলে বড় অংকের জরিমানাও করছেন। সঙ্গত কারণেই তার বিরুদ্ধে ক্ষোভে ফেটে পড়েছেন ছাত্রীরা। অধ্যক্ষের পদত্যাগের দাবিতে গত শুক্রবার থেকে রাস্তায় নেমে বিক্ষোভ করেছেন ছাত্রীরা।

তাদের অভিযোগ, নিম্নবর্ণের ছাত্রীদের অপদস্থ করার জন্য এ ধরনের নানা উদ্ভট নিয়ম তৈরি করে গত কয়েক মাস ধরে তাদের হয়রানি করে আসছেন কলেজ অধ্যক্ষ। একজন জ্যেষ্ঠ ছাত্রী বলেন, ‘হোস্টেলের ছাত্রীদের কক্ষের দরজা বন্ধ না করার নির্দেশ দেয়া হয়েছে। এমনকি পোশাক পরিবর্তন করার সময়েও তাদের দরজা খোলা রাখতে বলা হয়েছে।’

তিনি আরো বলেন, কলেজ অধ্যক্ষ বলেছেন, আমরা গোপনে মোবাইল ফোনে পর্নোগ্রাফি দেখার জন্য বা সমকামিতায় লিপ্ত হওয়ার জন্য কক্ষের দরজা বন্ধ করে রাখি। এ কারণে আমাদের শুধু চেয়ার দিয়ে দরজা বাজিয়ে রাখতে বলা হয়েছে। কিন্তু দরজা পুরোপুরি বন্ধ করতে নিষেধ করা হয়েছে। পর্নোছবি দেখতে পারে সন্দেহে কলেজের লাইব্রেরিতে কর্তৃপক্ষ তাদের ইন্টারনেট ব্যবহারের অনুমতি দেয় না বলেও অভিযোগ করেছেন ছাত্রীরা।

কলেজের এক ছাত্রী বলেন, কেউ বড় চুল বা নখ রাখলেও তার জন্য জরিমানা করেন অধ্যক্ষ। এ কারণে আমরা অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করছি। কর্তৃপক্ষকে অবশ্যই তাকে সরিয়ে অন্য কাউকে অধ্যক্ষের দায়িত্ব দিতে হবে।

এদিকে ছাত্রীদের টানা বিক্ষোভের পরেও চলমান সমস্যার সমাধান হয়নি। এ অবস্থায় নার্সিং কলেজটি এক সপ্তাহের জন্য বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। সূত্র: টাইমস নাউ টিভি



মন্তব্য চালু নেই