চাটমোহর ইউপি নির্বাচনে দু’দলেই বিদ্রোহের আগুন

জাহাঙ্গীর আলম, চাটমোহর (পাবনা) : আগামী ২৩ এপ্রিল পাবনার চাটমোহর উপজেলার ১১টি ইউনিয়নের মধ্যে ৫টি ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। নির্বাচনে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ ও পর্যুদস্ত বিএনপি একক প্রার্থী দিতে চেষ্টা করলেও দু’দলেই বিদ্রোহের আগুন জ্বলে উঠেছে। ফলে নেতা-কর্মীরা বিভক্ত হয়ে পড়েছেন। অনেকে সরাসরি বিদ্রোহীর পক্ষে নির্বাচনী প্রচারণায় নেমেছেন।

পৌর শহরের লাগোয়া মথুরাপুর ইউনিয়নে দু’দলেই বিদ্রোহের আগুন। ক্ষমতাসীন দলের মনোনয়ন পেয়েছেন বর্তমান চেয়ারম্যান ও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি সরদার আজিজুল হক। এখানে তৃণমূলে অংশ না নিয়ে স্বতন্ত্র হিসেবে নির্বাচন করছেন আওয়ামী লীগের নেতা প্রভাষক নুর মোহাম্মদ বেনজীর। বিএনপির প্রার্থী সংখ্যা ৩। ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি সাবেক চেয়ারম্যান আবুল কালাম আজাদ পেয়েছেন দলীয় মনোনয়ন। তাঁর প্রতিদ্বন্দ্বি ইউনিয়ন কৃষক দলের সভাপতি ও আবুল কালাম আজাদের চাচা আলহাজ্ব রেজাউল করিম বাবু ও ইউনিয়ন বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক আবুল কালাম আজাদ ছানা। এই ইউনিয়নে অপর স্বতন্ত্র প্রার্থী মোঃ আঃ রাজ্জাক। যিনি জাপা (এ) রাজনীতির সাথে জড়িত।

পার্শ্বডাঙ্গা ইউনিয়নে দলীয় মনোনয়ন পেয়েছেন ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি আলহাজ্ব মোঃ আজাহার আলী ও বিএনপির মনোনয়ন পেয়েছেন বর্তমান চেয়ারম্যান ও ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক রবিউল করিম তারেক। এখানে স্বতন্ত্র প্রার্থী সাবেক চেয়ারম্যান আলহাজ্ব বেলালুর রহমানের ছেলে বিএনপি ঘরোনার আনোয়ারুল করিম বাবু। এখানে জাতীয় পার্টি (এ) প্রার্থী মোঃ আইয়ুব হোসেন। ফৈলজানা ইউনিয়নে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পেয়েছেন মোঃ হানিফ উদ্দিন। বিএনপির বর্তমান চেয়ারম্যান ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি মোঃ শাহজাহান আলী। এখানে বিএনপির বিদ্রোহী মোঃ ফজের আলী ও ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের সুলতান মাহমুদ।

মূলগ্রাম ইউনিয়নে বিএনপির প্রার্থী বর্তমান চেয়ারম্যান মোঃ গিয়াস উদ্দিন আর আওয়ামী লীগের রাশেদুল ইসলাম বকুল। এখানে আওয়ামী লীগের একাংশের প্রার্থী কামরুল ইসলাম। রয়েছে জাতীয় পার্টির প্রার্থীও। ডিবিগ্রাম ইউনিয়নে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পেয়েছেন সাবেক চেয়ারম্যান আলহাজ্ব মোঃ নবীর উদ্দিন মোল্লা। বিএনপির প্রার্থী বর্তমান চেয়ারম্যান আনিসুর রহমান আনসু। আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী আলম সরকার আর বিএনপির বিদ্রোহী প্রার্থী মিজানুর রহমান মজনু ও আঃ রাজ্জাক আকাশ। এখানে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের প্রার্থীও রয়েছেন। বিদ্রোহী কিংবা স্বতন্ত্র প্রার্থীর কারনেই ভুগতে হবে দলীয় প্রার্থীদের এমন আভাস পাওয়া গেছে।



মন্তব্য চালু নেই