ঘোড়ার লেজ কেটে দেয়ায় এক পরিবার সমাজচ্যুত

বরিশালের আগৈলঝাড়া উপজেলায় ফুটবল টুর্নামেন্টে পুরস্কার হিসেবে পাওয়া ঘোড়ার লেজ কেটে দেয়ায় অভিযুক্ত পরিবারকে সমাজচ্যুত করেছে স্থানীয় এক ক্লাবের সদস্যরা।

বুধবার সকালে কল্লোলপল্লী মঙ্গল তরুণ সংঘের মাঠে অনুষ্ঠিত এক সভায় এই সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।

ক্লাব সভাপতি এবিএম আবু তালেব ছিদ্দিক বুলবুলের সভাপতিত্বে সভায় বক্তব্য রাখেন ক্লাবের সদস্য অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক আ. হামিদ তালুকদার, সামচুল আলম তালুকদার, দুলাল খান, রহিম খান, লাল মিয়া মোল্লা, সুলতান তালুকদার, অনন্ত হালদার, অজিত মধু, হাবিবুর রহমান, নুর হোসেন, রাজেন মধু ও খান জনি। ওই সভা থেকে মোকলেসের পরিবারকে সমাজচ্যুত করার ঘোষণা দেয়া হয়।

ক্লাব সভাপতি এবিএম আবু তালেব ছিদ্দিক বুলবুল জানান, পশ্চিম বাগধা কল্লোলপল্লী মঙ্গল তরুণ সংঘের উদ্যোগে ‘কল্লোল কাপ ফুটবল টুর্নামেন্ট’র ফাইনাল খেলা গত ৩ ডিসেম্বর (শনিবার) বিকেলে ক্লাব মাঠে অনুষ্ঠিত হয়।

ফাইনাল খেলার নির্ধারিত সময়ে সিতাই কুন্ড ও বাগধা কল্লোল ক্লাবের মধ্যে ২-২ গোলে ড্র হওয়ায় ট্রাইবেকারে বাগধা কল্লোল ক্লাব ৫-৪ গোলে সিতাই কুন্ডুকে পরাজিত করে বিজয়ী হয়।

বরিশাল শেরবাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক ডা. এসএম সিরাজুল ইসলাম প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে বিজয়ী দল কল্লোল ক্লাবকে পুরস্কার হিসেবে ঘোড়া তুলে দেন।

রোববার রাতে ঘোড়াটির লেজ কেটে নেয় পশ্চিম বাগধা গ্রামের মোকলেস সরদারের স্ত্রী বিউটি বেগম। পরে মোকলেস সরদারের ঘর থেকে কাটা লেজের অংশবিশেষ ও পশম পাওয়া যায়। ক্লাবের সদস্যরা বিষয়টি জানতে পেরে মোকলেসের কাছে তার স্ত্রীর বিচার দাবি করে। পরে তারা বিচার না পেয়ে সকালে সভা থেকে মোকলেসের পরিবারকে সমাজচ্যুত করার ঘোষণা দেয়া হয়।

মুঠোফোনে মোকলেস সরদার জানান, তার সঙ্গে ক্লাবের সদস্য খান জনির জমি নিয়ে ১১টি মামলা এবং বিরোধ চলে আসছে। তাই সমাজে হেয়প্রতিপন্ন করার জন্য অন্য কেউ এই কাজটি করতে পারে। ঘটনার সঙ্গে তার স্ত্রীর কোনো সম্পর্ক নেই।



মন্তব্য চালু নেই