ম্যাজিস্ট্রেটের বাসা থেকে গৃহপরিচারিকার লাশ উদ্ধার

বরিশালের অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেটের বাসভবন থেকে গৃহপরিচারিকা কিশোরীর ফাঁস দেওয়া মরদেহ উদ্ধার হয়েছে। গৃহপরিচারিকা রাজিয়া আক্তার (১৩) হিজলা উপজেলার খুন্না গোবিন্দপুর গ্রামের নূরুল ইসলামের মেয়ে।

সোমবার রাতে নগরীর জর্ডান রোড চন্দ্রিমা ভবনের দ্বিতীয় তলার ফ্ল্যাট থেকে মরদেহটি উদ্ধার হয়। অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট জাকির হোসেন পরিবার নিয়ে ওই ফ্লাটেই বসবাস করেন। এ ব্যাপারে কোতোয়ালি থানায় অপমৃত্যু মামলা হয়েছে। মঙ্গলবার শেবাচিম হাসপাতাল মর্গে ময়নাতদন্ত করা হবে বলে জানিয়েছেন কোতোয়ালি মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ শাহ মো. আওলাদ হোসেন। তারা ধারণা করছেন মেয়েটি আত্মহত্যা করেছে।

অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট জাকির হোসেন জানান, কয়েক বছর আগে তিনি হিজলা উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা ছিলেন। ওই সময় থেকেই তার দুই শিশু সন্তান রাজিয়াকে পছন্দ করত। পদোন্নতি পেয়ে হিজলা থেকে বদলি হওয়ার পর রাজিয়াও তাদের সাথে চলে আসে। সে তার দুই সন্তানকে দেখাশুনা করত। জাকির হোসেন আরো জানান, একই এলাকায় (জর্ডান রোড) অবস্থিত কাজল মঞ্জিল নামের বাড়িতে বসবাসরত মিলন নামে এক ছেলের সাথে প্রেমের সম্পর্কে জড়িয়ে পড়ে রাজিয়া। বিষয়টি তার স্ত্রী টের পেয়ে রাজিয়ার বাবাকে জানান এবং তার মেয়েকে নিয়ে যেতে বলেন। এরই মধ্যে রাত আনুমানিক পৌনে ১০টার দিকে বারান্দার গ্রিলের সাথে ওড়না পেঁচিয়ে ফাঁস দেয় রাজিয়া। তাকে উদ্ধার করে শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ (শেবাচিম) হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।

শেবাচিম হাসপাতালের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক মাসুদ মোল্লা জানান, হাসপাতালে আনার আগেই কিশোরীর মৃত্যু হয়েছে। তার গলায় আঘাতের চিহ্ন রয়েছে।

এদিকে কাজল মঞ্জিলের মালিক মো. শাহাবুদ্দিন জানান, তার ছেলে-মেয়েরা সবাই বিদেশে থাকেন। তাকে দেখভালের জন্য মিলন (১৬) নামে এক কিশোরকে নিয়ে আসেন তিনি। মিলনের সাথে রাজিয়ার সম্পর্কের বিষয়টি আজই জানতে পেরেছেন তিনি। ঘটনার পর থেকে মিলনকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না বলে জানান শাহাবুদ্দিন।

পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। মৃতদেহের সুরতহাল শেষে পরবর্তী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।



মন্তব্য চালু নেই