গোলাপগঞ্জে পুলিশের অভিযানে অস্ত্র’সহ আন্তঃজেলা ডাকাত দলের দু’সদস্য আটক
আজিজ খান, গোলাপগঞ্জ (সিলেট)প্রতিনিধি : গোলাপগঞ্জ মডেল থানা পুলিশের অভিযানে আন্তঃ জেলা ডাকাত দলের দুসদস্য অস্ত্র সহ আটক হয়েছে। গত সোমবার রাতে গোলাপগঞ্জ মডেল থানার ইন্সপেক্টর (তদন্ত) মীর মোহাম্মদ আব্দুন নাসেরের নেতৃত্বে এসআই কাজী মোক্তাদীর হোসেন, এসআই খন্দকার আতিকুর রহমান, এএসআই শংকর চন্দ্র দেবদের সমন্বয়ে গঠিত একটি টিম গোলাপগঞ্জ থানাধীন মুকিতলা এলাকার পাহাড় লাইন রোডের পাশে আতিক আহমদের পরিত্যক্ত কলোনীর মধ্যে অভিযান চালিয়ে আন্ত:জেলা ডাকাত দলের সর্দার গোয়াইনঘাট থানার উজুহাত গ্রামের মৃত জমির উদ্দিনের পুত্র জামাল উদ্দিন ওরফে জামাইল¬যা (৪০) ও সিলেট কতোয়ালী থানার লামাবাজার বিলপাড় এলাকার মৃত আকবর আলী কুদ্দুসের পুত্র সাজ্জাদ হোসেন(২৫)কে আটক করে।
এ সময় তাদের কাছ থেকে একটি দেশিয় তৈরি ফায়ারিং পিন্ট টেগারগানযুক্ত পাইপগান, দুটি কার্টিজ, একটি চাইনিজ কোড়াল, একটি তালা ও গ্রীল ভাঙার সাবল উদ্ধার করা হয়।
গোলাপগঞ্জে এরপূর্বেও বেশ কবার ডাকাতির প্রস্তুতিকালে অস্ত্র সহ প্রায় ডজনখানেক ডাকাত ধরা পড়েছিল। অতীতে যারা ধরা পড়েছে তাদের বেশির ভাগই ছিল গোলাপগঞ্জের বাহিরের লোক। বহিরাগত চুর-ডাকাতরা গোলাপগঞ্জের মানুষের যানমালের জন্য অনেকটা হুমকি হয়ে দেখা দিয়েছে। সম্প্রতি গোলাপগঞ্জে প্রবাসী বাড়িসহ বিভিন্ন স্থানে চুরি-ডাকাতি হলে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি অনেকটা হুমকির মধ্যে পড়ে। ডাকাতদের ধরতে প্রতি রাতেই পুলিশের একাধিক টিম উপজেলার বিভিন্ন গ্রামে টহল দিলে শেষ পর্যন্ত গোপন সংবাদের ভিত্তিতে গত সোমবার গভীর রাতে তাদেরই দলের দুসদস্য ধরা পড়ে।
এ ব্যাপারে গোলাপগঞ্জ মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ একেএম ফজলুল হক শিবলী জানান, বহিরাগত দূ®কৃতিকারীরা গোলাপগঞ্জের জন্য হুমকি হয়ে দেখা দিয়েছিল। ডাকাত ধরতে পুলিশ বেশ তৎপর রয়েছে। পুলিশের তৎপরতার কারণেই অস্ত্রসহ তাদের আটক করা সম্ভব হয়েছে। এদের কাছ থেকে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পাওয়া গেছে বলে তিনি দাবী করেন। খুব শীঘ্রই আরও ডাকাত ধরা সম্ভব হবে বলে তিনি জানালেন।
এদিকে আটক ডাকাতদের বিরুদ্ধে গোলাপগঞ্জ মডেল থানায় অস্ত্র আইনে মামলা হয়েছে। আটক ডাকাতদ্বয় সিলেট আন্তঃজেলা ডাকাত দলের অন্যতম সদস্য বলে জানা যায়। তাদের বিরুদ্ধে মৌলভীবাজার, কুলাউড়া, ওসমানী নগর, বড়লেখা, গোয়াইনঘাটসহ সিলেট ও দেশের বিভিন্ন স্থানে প্রায় ডজনখানেক মামলা রয়েছে।
মন্তব্য চালু নেই