গুপ্তচর সন্দেহে জালে আটক হলো পায়রার ঝাঁক

ডানায় এবং পায়ে লাল-নীল কালির ছাপ নিয়ে উড়ে আসা কবুতরের ঝাঁক নিয়ে আতঙ্কিত হয়ে পড়েছিলো ভিয়েতনামের ডা নাং শহরের কিছু বাসিন্দা।

থান নিয়েন নামে স্থানীয় একটি সংবাদ-ভিত্তিক ওয়েবসাইট লিখছে, শহরের কিছু লোক ভেবে নেয় নিশ্চয়ই চীন গুপ্তচরবৃত্তির জন্য কবুতরগুলোকে পাঠাচ্ছে।

কিছু লোক কবুতরগুলোকে জাল পেতে ধরে পুলিশের কাছে দিতে শুরু করে। গত নভেম্বর থেকে এরকম ১৬টি কবুতর পুলিশের হাতে দেওয়া হয়।

কিন্তু তদন্ত করে পুলিশ এখন বলছে কবুতরগুলো আসলে রেসিং পায়রা। পাশের একটি দেশ থেকে উড়ে এসেছে।

যেসব রেসিং ক্লাব এগুলোর মালিক, তাদেরকেও সনাক্ত করতে পেরেছে পুলিশ।

দক্ষিণ চীন সাগরের মালিকানা নিয়ে বিরোধের জেরে চীন এবং ভিয়েতনামের মধ্যে সম্পর্ক এখন খুব খারাপ।

এ কারণে, পায়রার ডানায় রং দেখে চীনকে সন্দেহ করতে শুরু করে ডা নাংয়ের বাসিন্দারা।

গুপ্তচরবৃত্তির অভিযোগ থেকে রক্ষা পেয়েছে রেসিং এই কবুতরগুলো, তবে বিভিন্ন সময়ে যুদ্ধের সময় গোয়েন্দাগিরিতে কবুতরের ব্যবহার হয়েছে।

দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময়েও ব্রিটিশরা সফলভাবে গোয়েন্দা তথ্য আদান প্রদানে কবুতর ব্যবহার করেছে।

কবুতর ছাড়াও অন্যান্য প্রাণীকেও বিভিন্ন সময় গুপ্তচরবৃত্তির সন্দেহ করা হয়েছে।

গুপ্তচরবৃত্তিতে কাজে লাগানো হচ্ছে — এই সন্দেহে ২০০৭ সালে ইরান তাদের একটি পারমানবিক কেন্দ্রের বাইরে থেকে ১৪টি কাঠবিড়ালি আটক করেছিলো।



মন্তব্য চালু নেই