গালিভার-লিলিপুট যখন একই ফ্রেমে!

এক বিশেষ দিনে দুজনা’র দেখা হয়ে গেল। তারা যখন করমর্দণ করতে গেলেন তখনই তৈরি হল এক মজার দৃশ্যপট । কেননা একজন হচ্ছেন বিশ্বের সবচেয়ে লম্বা, অন্যজন সবচেয়ে খর্বাকৃতির মানুষ। গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ডের দশম বার্ষিকীতে একত্রিত হয়েছিলেন এই দুই রেকর্ডধারী। তাদের দেখে মনে হচ্ছিল, যেন জোনাথন সুইফটের গালিভারস ট্রাভেলসের’ পাতা থেকে জ্যান্ত ওঠে এসেছেন ওই দুই চরিত্র-যেন এ যুগের গালিভার আর লিলিপুট।

গালিভার মানে লম্বা মানুষটির নাম সুলতান কোসেন। এই তুর্কির উচ্চতা হচ্ছে ৮ ফুট ৯ ইঞ্চি। তিনি বৃহস্পতিবার লন্ডনের হাউজ অব পার্লামেন্টে ১ ফুট সাড়ে নয় ইঞ্চি লম্বা নেপালের চন্দ্র বাহাদুর দানগির সঙ্গে মিলিত হন। তার সঙ্গে বেশ কসরত করেই বাহাদুরের সঙ্গে হাত মেলাতে হয় কোসেনের। ৩১ বছরের লম্বু মানুষটা কোমর বেকিয়ে প্রায় উঁবু হয়ে তার হাঁটুর অনেকখানি নিচে পড়ে থাকা বাহাদুরের সঙ্গে করমর্দন করেন।

কোসেন একজন কৃষক। তিনি সংবাদ সংস্থা এএফপিকে বলেন,‘আমি তার কথা আগেও শুনেছি। তাকে দেখার একটা খায়েশ ছিল আমার। ভাবতাম, মানুষটা আমার পায়ের কতটা নিচে থাকবে। আজ বুঝলাম, তিনি আমার কল্পনার চেয়েও অনেক ছোট।’ তবে ৭৪ বছরের এই বেঁটে মানুষটির সঙ্গে দেখা হওয়ায় অভিভূত কোসেন। যদিও তার সঙ্গে ফটো তোলার জন্য এতটা উবু হয়ে থাকতে থাকতে কোমরে ব্যাথা হয়ে গিয়েছিল তার।

এমনিতেও তার হাঁটুতে খানিকটা সমস্যা আছে। যে কারণে বেশিক্ষণ দাঁড়িয়ে থাকলে ক্লান্ত হয়ে পড়েন।

গালিভার-লিলিপুট যখন একই ফ্রেমে!

কোসেন আরো বলেন,‘যদিও সে খুব খাটো আর আমি লম্বা, বেঁচে থাকার জন্য আমাদের দুজনকেই কিন্তু একই রকম সংগ্রাম করতে হয়েছে। তার চোখের দিকে তাকিয়েই আমি বুঝেছি তিনি খুব চমৎকার মানুষ।’ কোসেন শুধু লম্বার দিক দিয়েই সেরা নন, বিশ্বের সবচেয়ে লম্বা হাতের রেকর্ডখানিও তার দখলে। কব্জি থেকে মধ্যমাঙ্গুলি পর্যন্ত তার হাতের দৈর্ঘ্য ১১ দশমিক ৫ ইঞ্চি। অন্যদিকে লম্বু কোসেনকে দেখে দারুন খুশি লিলিপুট দানগির। তার অনুভূতি হল,‘বিশ্বের সবচেয়ে লম্বা মানুষটিকে দেখে আমি খুব অভিভূত।। আমি আমার বিপরীত দৈর্ঘ্যের ব্যক্তির সঙ্গে দেখা করতে উৎসুক ছিলাম। এছাড়া গিনেস রেকর্ডে নাম ওঠাতে পেরেও আমি সন্তুষ্ট। এ কারণেই আমি অনেক দেশ ঘুরে বেড়ানো সুযোগ পেয়েছি। আমার ঘুরে বেড়াতে এবং নানা ধরণের মানুষজনের সঙ্গে পরিচিত হতে ভালো লাগে।’



মন্তব্য চালু নেই