গাজায় ইসরায়েলি আগ্রাসনের বিরুদ্ধে ইরানিদের মধ্যে ক্ষোভ বাড়ছে

গাজায় ইসরায়েলি আগ্রাসনের বিরুদ্ধে ইরানিদের মধ্যে ক্ষোভ বাড়ছে। গতকাল শুক্রবার দেশটির অন্তত ৮০০ শহরে ফিলিস্তিনিদের সমর্থনে বিক্ষোভ করেছে তারা। এ ছাড়া সেখানকার জনগণের সঙ্গে তাল মিলিয়ে এ বিষয়ে আরো কঠোর হয়েছে সরকারও। ইহুদি আগ্রাসনের বিরুদ্ধে বিশ্ববাসীর নীরব ভূমিকার তীব্র সমালোচনা করেছেন প্রেসিডেন্ট হাসান রুহানি।

ফিলিস্তিনিদের সমর্থনে প্রতি রমজান মাসের শেষ শুক্রবার ‘কুদস দিবস’ (জেরুজালেম ডে) পালন করে ইরানের জনগণ। এ বছর এমন সময় দিবসটি এলো, যখন গাজায় ইসরায়েলি আগ্রাসনে এরই মধ্যে আট শতাধিক ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে। ইরানের রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যমগুলো জানায়, ইসরায়েলিদের প্রতি ক্ষোভ ও নিন্দা জানাতে গতকাল তেহরান বিশ্ববিদ্যালয়ের ৯টি পয়েন্টে বিক্ষোভ হয়। এ সময় স্লোগান দেওয়ার পাশাপাশি বিভিন্ন প্লেকার্ড বহন করেন তাঁরা। এ ছাড়া একই উদ্দেশ্যে গতকাল আরো আট শতাধিক শহরে বিক্ষোভ হয়েছে।

হাসান নামের এক আন্দোলনকারী বলেন, ফিলিস্তিনিদের বলছি, এক ফোঁটা রক্ত থাকা পর্যন্ত তোমরা যুদ্ধ চালিয়ে যাও। ইসলামি রাষ্ট্রগুলো বিশেষ করে ইরান তোমাদের পাশে থাকবে।

এদিকে হাসান রুহানি গতকাল রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনে ভাষণ দিয়েছেন। এতে তিনি নীরব ভূমিকার জন্য বিশ্ববাসীর সমালোচনা করে বলেন, গাজাবাসীর জীবনের স্বার্থে ইসরায়েলি হামলা বন্ধ এখন পুরো বিশ্বের দাবি।তিনি রাফা সীমান্ত খুলে দেওয়ারও দাবি জানান। মিসরের সঙ্গে গাজার এই সীমান্তটি এখন পর্যন্ত ইসরায়েলি দখলদারিত্বের বাইরে।

রুহানির চেয়েও কঠোর মনোভাব দেখিয়েছেন ইরানের রেভ্যুলুশনারি গার্ডের সেকেন্ড ইন কমান্ড জেনারেল হোসেইন সালামি। রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনে তিনি বলেন,দখলকৃত কোনো এলাকাই ইহুদিদের জন্য নিরাপদ নয়। কারণ ফিলিস্তিনি মিসাইল ইসরায়েলের ধারণার চেয়েও দূরপাল্লার।ফিলিস্তিনিদের রক্তের প্রতিশোধ নিতে ইরানের সহযোগিতা অব্যাহত থাকবে বলেও জানান তিনি। এর আগে বুধবার যুদ্ধ চালিয়ে যেতে ফিলিস্তিনিদের আহ্বান জানান দেশটির সর্বোচ্চ ধর্মীয় নেতা আয়াতুল্লাহ আলী খামেনি।



মন্তব্য চালু নেই