ইউপি নির্বাচন
কয়েকটি ঘটনা সামগ্রিক অর্জন ম্লান করে দিয়েছে
![](https://archive1.ournewsbd.net/wp-content/uploads/2015/12/rokib.jpg)
প্রথম ধাপের তুলনায় দ্বিতীয় ধাপের ভোট একটু ভালো হয়েছে। তবে দ্বিতীয় ধাপের ভোটে কিছু ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) অনিয়ম-সহিংসতায় সামগ্রিক সফলতাকে ম্লান করে দিয়েছে বলে স্বীকার করেছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী রকিবউদ্দীন আহমদ।
বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা সোয়া ৭টায় ইসির মিডিয়া সেন্টারে ভোটগ্রহণ শেষে সাংবাদিকদের সামনে তিনি এসব বলেন।
কাজী রকিব বলেন, ‘প্রথম ধাপের অভিজ্ঞতার আলোকে দ্বিতীয় ধাপে বিশেষ সতর্কতামূলক ব্যবস্থা নিয়েছি। কিছু ব্যবস্থা গৃহীত হওয়ায় প্রথম ধাপের তুলনায় এবার একটু ভালো হয়েছে। তবে কয়েকটি ইউপিতে কিছু ঘটনা সামগ্রিক অর্জনকে ম্লান করে দিয়েছে।’
দ্বিতীয় ধাপে ৬৩৯ ইউপিতে ভোট হয়। ভোটের সময় ও পরবর্তীতে অন্তত ৫ জনের প্রাণহানি হয়েছে। অনিয়মের কারণে ৩৩টি ভোটকেন্দ্রের ভোট বন্ধ করে দেয়া হয়েছে বলে জানান সিইসি।
কেরানীগঞ্জে এক শিশু নিহতের ঘটনায় গভীর শোক প্রকাশের পাশাপাশি ভোলায় এক সাংবাদিক গুলিবিদ্ধের জন্য দুঃখ প্রকাশ করেন তিনি।
অনিয়ম সহিংসতা রোধে ইসির অবস্থানের কথা তুলে ধরে কাজী রকিব বলেন, ‘আমরা প্রতিটি বিষয় নিবিড় পর্যবেক্ষণ করেছি। যেখানে অনিয়ম হয়েছে ব্যবস্থা নিয়েছি। ভবিষ্যতে আরো সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণভাবে ভোট হবে আশা করি।’
বিএনপির ভোট বর্জনের হুমকির বিষয়ে সিইসি জানান, দলটির অনেক দাবি তারা আমলে এনেছেন। পরবর্তী ধাপে আরো ভালো নির্বাচনের আশাও করেন তিনি।
নির্বাচন নিয়ে বিএনপির সমালোচনার বিষয়ে তিনি বলেন, ‘রাজনৈতিক দল তাদের অভিমত দেবে। যে কোনো প্রার্থী, দল তাদের মনোভাব প্রকাশ করবে। আমরা তাদের আশ্বস্ত করেছি-অনিয়ম হলে ব্যবস্থা নেব।’
‘সিইসি অসহায়’ বিএনপির এমন অভিযোগের প্রেক্ষিতে তিনি বলেন, ‘কে কী দেখলো, না দেখলো, এটা তাদের বক্তব্য। তাদেরকে জিজ্ঞাসা করেন।’
পরবর্তীতে পরিস্থিতির উন্নতির পাশাপাশি ভোটার উপস্থিতিও বাড়বে উল্লেখ করে সিইসি বলেন, ‘আমরা গুণগত মান বাড়াতে চাই, আরো বাড়বে সামনে। অনিয়মকে ছাড় দেব না।’
তিনি জানান, ব্যাপক ভোটারের উপস্থিতি ছিল এ ধাপে। বিশেষ করে নারী ভোটারের লাইন ছিল দীর্ঘ। আগামীতেও সুষ্ঠু ভোটের পরিবেশ নিশ্চিত করা হবে।
সুষ্ঠু শান্তিপূর্ণ নির্বাচনের জন্য রাজনৈতিক দল, প্রার্থী তাদের সমর্থক সবাইকে ধন্যবাদ জানান কাজী রকিব।
প্রথমধাপের তফসিল ঘোষণা থেকে গত দেড় মাসে এ পর্যন্ত ৩০ জন নিহত হয়েছে ভোটকে কেন্দ্র করে। প্রথমধাপে আগে-পরে অন্তত ২৪ জন মারা গেলেও দ্বিতীয় ধাপে ভোটের সময়ই ছয় জন মারা পড়েছে এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘ভোটের সময় দুষ্কৃতিকারীরা তাদের কৌশলও পাল্টে ফেলেছে। তারা স্ট্রাটেজি চেঞ্জ করে ফেলেছে। আগে-পরে না করে মাঝখানে ঘটনা ঘটাচ্ছে।’
এ সময় ইসি সচিব মো. সিরাজুল ইসলাম, অতিরিক্ত সচিব মোখলেছুর রহমান, যুগ্মসচিব জেসমিন টুলী উপস্থিত ছিলেন।
মন্তব্য চালু নেই