ক্ষমতাধর ব্যক্তিদের ফেসবুক ফলোয়ার

বিশ্বের নামিদামি ব্যক্তিদের ফেসবুকে ফ্যানপেজ থাকে, আর সেসব ফ্যানপেজকে ফলো করে থাকেন তার ভক্তরা। তাদের এসব পেজ দেখে সহজেই অনুমান করা যায় ফেসবুকে তার কত অনুসারী রয়েছেন। ফেসবুক ফলোয়ারের তালিকার প্রথমেই আছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী৷ দ্বিতীয় স্থানে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প৷ তবে মোদীর চেয়ে ট্রাম্প অনেক পিছিয়ে৷

নরেন্দ্র মোদী : জনসংযোগ প্রতিষ্ঠান বার্সন-মার্স্টেলারের এক প্রতিবেদন উল্লেখ করা হয়েছে, ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর ব্যক্তিগত পেজে তার ফলোয়ারের সংখ্যা চার কোটি৷ আর পেজের লাইক চার কোটির ওপর, যার ৮৮ দশমিক ৮ শতাংশই ভারতের।

ডোনাল্ড ট্রাম্প : মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের ব্যক্তিগত পেজের ফলোয়ার দুই কোটি৷ তার বিখ্যাত টুইটার অ্যাকাউন্টে তার ফলোয়ারের সংখ্যা আরো বেশি- আড়াই কোটি৷ জরিপে ২০১৬ সালে বিভিন্ন সরকার ও রাষ্ট্রপ্রধান, এ ছাড়া মন্ত্রীদের ৫৯০টি ফেসবুক পাতা বিশ্লেষণ করে এ তথ্য পাওয়া গেছে। তবে স্ত্রী মেলানিয়া ও মেয়ে ইভাঙ্কাও ফেসবুকে জনপ্রিয়।

বারাক ওবামা : বারাক ওবামা আর যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নন, কাজেই তিনি সেই অর্থে সক্রিয় বিশ্বনেতা নন৷ তবু এখন পর্যন্ত পাঁচ কোটি চল্লিশ লাখ মানুষ ফেসবুকে তার ফলোয়ার। যা কি না মোদী আর ট্রাম্পের ফলোয়ারের যোগফলের প্রায় সমান৷

রানি রানিয়া : জর্ডানের রাজা দ্বিতীয় আবদুল্লাহর রানি রানিয়ার ফেসবুক ফলোয়ারের সংখ্যা এক কোটির বেশি, যা কি না জর্ডানের জনসংখ্যার চেয়েও বেশি৷ পশ্চিমি মিডিয়াতেও রানি রানিয়ার জনপ্রিয়তা কিছু কম নয়৷

তাইয়েপ এরদোয়ান : ফেসবুকে তুরস্কের প্রেসিডেন্ট তাইয়িপ এরদোয়ানের ফলোয়ারের সংখ্যা প্রায় নব্বই লাখ৷ ফলোয়ারের হিসেবে গত বছর তিনি ছিলেন তৃতীয় স্থানে, তৎকালীন মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা এবং এ বছরের বিজয়ী নরেন্দ্র মোদীর ঠিক পরেই৷

আল সিসি : মিশরের প্রেসিডেন্ট আবদেল ফাতাহ আল সিসির ফলোয়ারের সংখ্যা প্রায় সত্তর লাখ৷ বিশ্ব নেতারা কত ঘন ঘন কন্টেন্ট পোস্ট করেন আর কী পরিমাণ লাইক, কমেন্ট ও শেয়ার পান, রিপোর্টে সেদিকেও নজর রাখা হয়েছে৷

পলিটিক্যাল ইনসাইডার, ডয়চে ভেলে, ডেইলি মেইল



মন্তব্য চালু নেই