কেমন হয় বিশ্ববিখ্যাত মানুষদের সকালের নাশতা?

জাস্টিন টিম্বারলেকের গান আপনার কেমন লাগে? কিংবা কেমন লাগে আমেরিকার প্রেসিডেন্ট পত্নী মিশেল ওবামাকে? সফল এই মানুষগুলোকে নিয়ে অনেক কিছুই হয়তো জানেন আপনি। আদর্শ হিসেবে মেনে চলেন মাঝে মাঝেই। কিন্তু এটা কি জানেন যে তারা সকালের নাশতায় কি খায়? কি দিয়ে শুরু করে দিনটা? আসুন জেনে নিই এমনই কিছু বিখ্যাত মানুষের সকালের নাশতার খোঁজ।

১. মার্গারেট থ্যাচার

১৯৭৯ সালে দ্যা সানের প্রতিবেদক ক্যাথরিন হেডলিকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকার অনুসারে লৌহ মানবী নামে পরিচিত ব্রিটেনের এই প্রথম নারী প্রধানমন্ত্রী জানান সাধারনত তিনি কম খেতে চেষ্টা করেন। তবে যখন খান খানিকটা কফি আর আঙ্গুরই পছন্দের তালিকায় থাকে তার। “ সারাদিনের শক্তি দেওয়ার জন্যে বড় ধরনের নাশতা করি আমি। “ থ্যাচার বলেন।

২. উইন্সটন চার্চিল

বর্তমান সময়ের মতন এতটা ডায়েটে চলার অভ্যাস ছিল না ব্রিটেনের এই সাবেক প্রধানমন্ত্রীর। সকাল সকাল একটা ভারী নাশতা না করলে দিনটাই ভালো যেত না তার। সকালের নাশতায় চার্চিল একটা ডিম পোচ, টোস্ট, জ্যাম, ঠান্ডা মাংস, আঙ্গুর আর খানিকটা হুইস্কি সোডা খেতেন। টেলিগ্রাফের তথ্যানুসারে, নিজের খাবারটা দুটো ট্রেতে আসতে দেখতেই ভালো লাগত চার্চিলের। প্রথম ট্রেতে ডিম পোচ, টোস্ট, জ্যাম, মাখন, দুধ এবং ঠান্ডা মাংস থাকত। অন্যটায় থাকতো চিনির পাত্র, আঙ্গুর, কমলালেবুর রস আর হুইস্কি সোডা। ভাবছেন যাক! এতেই তাহলে খাওয়া শেষ হয়ে যেত চার্চিলের সকালবেলায়? তাদের জন্যে বলছি, না! এটুকু কেবল হাত ধোয়ার আগে। খাওয়ার পরে হাত ধুয়ে সকালের প্রথম সিগারেটটা ধরাতেন চার্চিল।

৩. জাস্টিন টিম্বারলেক

আমেরিকার বিখ্যাত গায়ক, গীতিকার আর অভিনেতা জাস্টিন টিম্বারলেক অবশ্য চার্চিলের মতন অতটা খাদ্যপ্রেমী নন। বিজনেস ইনসাইডারের তথ্যমতে, সকালের নাশতায়খানিকটা ওয়াফেলসহ ফ্রাক্স, বাদামের মাখন আর ঝুঁরি করে ভাজা ডিম খেতে পছন্দ করেন তিনি। এরপর তিনি বেশ খানিক্ষণ কাজ করেন। কাজ শেষে আবার একটি ডিম কিংবা প্রোটিন শেক- এটুকুতেই সকালবেলাটা পার করে দেন জাস্টিন।

৪. মিশেল ওবামা

বিজনেস ইনসাইডারের প্রতিবেদনানুসারে, মিশেল ওবামা তার সকালটা ডিমের ঝুরি ভাজা, টার্কি সসেজ আর আঙ্গুর দিয়ে করতেই ভালোবাসেন। সকালের নাশতায় আরো কিছু ফল কিংবা ক্যালোরি যোগ করার সুযোগ থাকলেও সাধারনত মিশেল সেগুলোকে এড়িয়েই চলেন। অনেকটা জাস্টিন টিম্বারলেকের মতন।

৫. বিল ক্লিনটন

দিনের শুরুতে বাদাম দুধের মিশ্রণ, তাজা জাম এবং প্রোটিন পাউডার দিয়ে শুরু করেন বিল ক্লিনটন। যদিও খাবারের উপাদানগুলো সকালের নাশতার চাইতে রাতের খাবার শেষের উপাদান বলেই মনে হচ্ছে, তবুও এতেই যথেষ্ট খুশি থাকেন ক্লিনটন। হাফিংটন পোস্টের দেওয়া তথ্যমতে, ২০১০ সালে নাশতায় ভেগানকে বেছে নিয়েছিলেন তিনি আর কমিয়েছিলেন প্রায় ৩০ পাউন্ড। বর্তমানে আবার ডিম আর স্যামন খাওয়া শুরু করলেও ভেগান নাশতা ছাড়তে পারেননি ক্লিনটন।



মন্তব্য চালু নেই