কেমন আছে ফিলিপাইনের ক্যাথলিকরা
দীর্ঘ বছর পর এশিয়া সফর করছেন খ্রিষ্টান জাহানের প্রধান পোপ ফ্রান্সিস। এই সফরের অংশ হিসেবে তিনি গত দুদিন আগেই ফিলিপাইনের ক্যাথলিক সম্প্রদায়ভুক্ত অঞ্চলে ভ্রমন করেছেন তিনি। গত বিশ বছরের মধ্যে এবারই প্রথম কোনো পোপ ফিলিপাইনের ক্যাথলিক সম্প্রদায়দের অঞ্চলে সফর করলেন। ১৫২১ সালের দিকে যখন ফিলিপাইন স্প্যানিশ কলোনি ছিল তখন থেকেই মূলত দেশটিতে খ্রিষ্টধর্ম বিস্তার লাভ করে। মূলত দেশটির লুজন দ্বীপে এদের বসবাস।
বৃহত্তর খ্রিষ্টান সম্প্রদায়ের অংশ হওয়া স্বত্ত্বেও ফিলিপাইনের ক্যাথলিকদের সংস্কৃতি অনেকটা ভিন্ন। তাদের ধর্মবিশ্বাসের রীতি যেমন ভিন্ন তেমনি তা পালনেও ভিন্নতা আছে। প্রাচীন আদিবাসী রীতি অনুসরণ করে এখনও ফিলিপাইনের ক্যাথলিকরা তাদের মৃতদেহকে পাহাড়ের শরীরে ঝুলিয়ে রাখে। লুজন দ্বীপটিকে অনেক আগেই জাতিসংঘ সংরক্ষিত অঞ্চল হিসেবে ঘোষণা দিয়েছে। কারণ একদিকে এই দ্বীপের প্রাকৃতিক সৌন্দর্য যেমন নয়নাভিরাম তেমনি প্রাচীন স্থাপনার জন্যও অঞ্চলটি বিখ্যাত।
লুজনের ক্যাথলিকদের মধ্যে এখনও পৌত্তলিক বিশ্বাসের যথেষ্ট ছাপ আছে। এই সম্প্রদায়ের মধ্যে প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষা প্রায় দেখা যায় না বললেই চলে। কিন্তু বর্তমানে তরুণদের কেউ কেউ উন্নত শিক্ষার জন্য স্কুল কলেজে যাতায়াত করছে। তবে স্কুল থেকে পশ্চিমা শিক্ষায় শিক্ষিত হয়ে এসেও ওই তরুণেরা যখন মাঠে কাজ করতে যায় তখন তারা তাদের প্রাচীন ফসলের দেবতারই পূজা করে। গবেষকদের মতে, ফিলিপাইনের এই ক্যাথলিকদের মধ্যে একদিকে যেমন পারস্য প্রভাব আছে, তেমনি প্রাচীন মিসরীয়দের অনেক রীতিনীতিও এদের মধ্যে কাজ করে।
এই সম্প্রদায়ের মানুষেরা বয়স্কদের যথেষ্ট সম্মান দেয় এবং তাদের জন্য সবসময় আলাদা জায়গা ছেড়ে দেয়া হয়। প্রাচীন ধর্মবিশ্বাস মতে, সম্প্রদায়ের বয়স্করা হলো বটবৃক্ষের মতো। যারা দীর্ঘকাল ধরে সমাজের ভালোর জন্য অনেক রীতি ধারণ করে আছে।
মন্তব্য চালু নেই