কারাগারে রুবেলের সঙ্গে দেখা করলেন আকরাম
বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) অপারেশনস কমিটির চেয়ারম্যান আকরাম খান ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে জাতীয় দলের পেসার রুবেলের সঙ্গে দেখা করেছেন। শনিবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে তিনি স্ত্রীসহ রুবেলের সঙ্গে দেখা করতে যান।
ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারের সিনিয়র জেল সুপার ফরমান আলী বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
নবাগতা চিত্র নায়িকা হ্যাপির ধর্ষণ মামলায় রুবেল হোসেন এখন ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারের চার দেয়ালে বন্দী। এতে অনেকটাই অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে তার বিশ্বকাপ খেলা। কেন্দ্রীয় কারাগারের ৭ নম্বর সেলে আর দশজন সাধারণ কয়েদির মতোই দিন কাটছে বিশ্বকাপ খেলা এই ক্রিকেটারের।
হ্যাপির করা মামলায় গত বৃহস্পতিবার ঢাকার মেট্রোপলিটন মেজিস্ট্রেট আদালতে রুবেল আত্মসমর্পণ করলে শুনানি শেষে আদালত তাকে জেলহাজতে পাঠান আদালত।
কারাগারে যাওয়ার পর আজ প্রথম বোর্ডের একজন পদস্থ কর্মকর্তা দেখা করতে গেলেন রুবেলের সঙ্গে। গত ৭২ ঘণ্টায় বোর্ডের আর কোনো কর্মকর্তা তাকে দেখতে যাননি।
এর আগে সিনিয়র জেল সুপার ফরমান আলী শুক্রবার বিকেলে বলেন, ‘৮/১০ জন সাধারণ কয়েদির মতোই রুবেলকেও জেলে রাখা হয়েছে। তিনি কারাগারের বিশেষ সুবিধার আওতায় পড়েন না। তাকে ৭ নম্বর সেলে সাধারণ কয়েদিদের সঙ্গেই রাখা হয়েছে।’
তিনি বলেন, ‘বৃহস্পতিবার রুবেলের বাবা-মা তার সঙ্গে দেখা করতে আসেন। এ সময় তারা কিছু ফল ও শুকনো খাবার নিয়ে আসেন।’
কারাগারের বিশ্বস্ত সূত্রে জানা যায়, রুবেল কারাগারে বেশ বিমর্ষ অবস্থায় রয়েছেন। কারো সঙ্গে তেমন কথা বলছেন না।
এদিকে রুবেলের বিষয়ে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের করণীয় জানতে চাইলে বোর্ডে প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা নিজাম উদ্দিন চৌধুরী সুজন বলেন, ‘যেহেতু বিষয়টা আদালতের, তাই এখানে আমাদের করার কিছুই নেই। কারও ব্যক্তিগত স্পর্শকাতর বিষয়ে বিসিবির কী করার আছে? তার (রুবেল) বিষয়ে বিসিবিতে আলোচনা হবে। তারপর একটা সিদ্ধান্ত নেয়া হবে।’
রুবেল জামিন না পেলে কী করা হবে এমন প্রশ্নের জবাবে বোর্ডের প্রধান নির্বাচক ফারুক আহমেদ বলেন, ‘রুবেলের বিষয়ে বিসিবি সিদ্ধান্ত নেবে। বিসিবি সিদ্ধান্ত নিলেই আমরা বিকল্প চিন্তা করবো। আসলে এ বিষয়ে নির্বাচকদের তো তেমন কিছুই করার নেই। বিষয়টা পুরোপুরি বিসিবির।’
গত ১৩ ডিসেম্বর নবাগত অভিনেত্রী নাজনীন আক্তার হ্যাপি ধর্ষণের অভিযোগ এনে রাজধানীর মিরপুর থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন ৯/১ ধারায় রুবেলের বিরুদ্ধে মামলা করেন। এরপর গত ১৫ ডিসেম্বর এ মামলায় হাইকোর্ট রুবেলকে চার সপ্তাহের জামিন দেন। এ সময়ের মধ্যে তাকে নিম্ন আদালতে আত্মসমর্পণেরও নির্দেশ দেয়া হয়।
বৃহস্পতিবার নিম্ন আদালতে হাজির হয়ে জামিনের আবেদন করেন রুবেল। আদালত শুনানি শেষে জামিন আবেদন নাকচ করে কারাগারে পাঠিয়ে দেন জাতীয় দলের এই ক্রিকেটারকে।
মন্তব্য চালু নেই