পূর্ব ইউক্রেন সীমান্তে রুশ গাড়িবহর

কঠোর অবরোধের হুমকি যুক্তরাষ্ট্রের

পূর্ব ইউক্রেনের উদ্দেশ্যে পাঠানো রুশ সাহায্য গাড়িবহর প্রত্যাহরের দাবি জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। তাদের এই দাবি মেনে নেয়া না হলে মস্কোর বিরুদ্ধে আরো কঠিন অবরোধের হুমকি দিয়েছে মার্কিন প্রশাসন।

কিয়েভ সরকারের অনুমতি ছাড়াই শুক্রবার রুশপন্থি বিদ্রোহীদের নিয়ন্ত্রিত পূর্ব ইউক্রেনের উদ্দেশে যাত্রা শুরু করে ত্রাণ সামগ্রি বোঝাই শতাধিক রুশ লরি। এ ঘটনাকে ইউক্রেনের সার্বভৌমত্বের চরম লঙ্ঘণ উল্লেখ করে এসব লরি ফিরিয়ে নেয়ার দাবি জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। তাদের এ দাবি মানা না হলে মস্কোর বিরুদ্ধে আরো কঠোর অবরোধ আরোপের হুমকি দিয়েছে পশ্চিমা এই দেশটি।

এদিকে কিয়েভ সরকারকে সতর্ক করে দিয়ে মস্কো বলছে, ত্রান বোঝাই এই বহরকে বাধা দেয়ার চেষ্টা করা হলে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে। তবে তারা কী ধরণের ব্যবস্থা নেবে সে বিষয়ে স্পষ্ট করে কিছু বলা হয়নি। তবে পূর্ব ইউক্রেনে রুশ গাড়ি বহর পাঠানোর সমালোচনা করে ন্যাটো বলেছে, বিচ্ছিন্নতাবাদিদের শক্তিশালী করার জন্য এই উদ্যোগ নিয়েছে মস্কো।

এই রুশ তৎপরতা নিয়ে জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদের সঙ্গে জরুরি বৈঠকে মিলিত হওয়ার পরিকল্পনা করেছে ওয়াশিংটন। এ সম্পর্কে হোয়াইট হাউসের সহকারী জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা বেন রোডিস বলেন, এই কনভয় সরিয়ে নেয়া না হলে রুশদের চরম মূল্য দিতে হবে। তিনি আরো বলেন,‘আমরা অতীতেও রাশিয়াকে ইউক্রেনের বিদ্রোহদের অস্ত্র সরবরাহ করতে দেখেছি।’

তবে মস্কো বরাবরই বিদ্রোহীদের সামরিক সহায়তা দেযার অভিযোগ অস্বীকার করে আসছে। কিন্তু ইউক্রেনের ক্রিমিয়া অঞ্চলটি রাশিয়ার সঙ্গে যুক্ত হওয়ার পর মস্কোর বিরুদ্ধে অর্থনৈতিক অবরোধ আরোপ করেছে যুক্তরাষ্ট্র এবং ইউরোপীয় ইউনিয়ন। এছাড়া রুশ সীমান্তবর্তী সদস্য দেশগুলো এবং সাবেক কমুনিষ্ট দেশ পোলান্ড সীমান্তে অতিরিক্ত সেনা মোতায়েন করেছে পশ্চিমাদের সামরিক জোট ন্যাটো।

এদিকে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট পেট্রো পোরোশেনকো তার সরকারের অনুমতি ছাড়া রুশ কনভয়ের তার দেশের সীমান্তে অনুপ্রবেশের ঘটনাকে আন্তর্জাতিক আইনের চরম লঙ্ঘণ বলে মনে করছেন। তবে কিয়েভের এক উর্ধ্বতন নিরাপত্তা কর্মকর্তা বলেছেন, ইউক্রেন সেনাবাহিনী কোনো রকম উত্তেজনা এড়িয়ে চলবে এবং রুশ গাড়িবহরকে বাধা দেবে না।



মন্তব্য চালু নেই