এ কেমন অপারেশন?

কথাটা শুনলে আপনার চোখ কপালে উঠে যাবে। যদি শোনেন কোনো হাসপাতালের অপারেশন থিয়েটার নাই, বিশেষজ্ঞ ডাক্তার নাই কিন্তু অপারেশন হয়ে গেল। কেমন শোনাবে কথাটা। এমনই এক অভিনব অপারেশনের কথা শোনাবো আজ।
ঘটনাটি ঘটেছে শুক্রবার ভারতের পাটনার পুর্নিয়া জেলার দাগারুয়ায়। একজন হাতুরে ডাক্তার রান্নাঘরেই এক শিশুর অপারেশন করলেন। আর তার ফলাফল হলো শিশুটিকে আর বাঁচানো গেল না।
স্থানীয় পুলিশ সূত্রে জানা যায়, এক বছরের এক শিশুর প্রায়ই পেটের ব্যথা হয়। সেদিনও প্রচণ্ড ব্যথা ওঠে শিশুটির পেটে। মেয়ের ব্যথা সহ্য করতে না পেরে পাশের গ্রামের ডাক্তারের কাছে নিয়ে যায় তার বাবা প্রকাশ মণ্ডল। কিন্তু ডাক্তার জানালেন ব্যথাটা অ্যাপেন্ডিসাইটিসের। তাকে খুব দ্রুত অপারেশন করাতে হবে। কীভাবে? সেটা জানেনা শিশুটির বাবা। কিন্তু ডাক্তার সাহেব ঠিকই জানেন।
যেই কথা সেই কাজ। ডাক্তার সোজা রান্নাঘরে ঢুকে একটা সবজি কাটার ছুরি নিয়ে এলেন। কিছু বুঝে ওঠার আগেই মেয়েটির পেট কেটে ফেলেন। শুধু তাই না ওই ডাক্তার শিশুটির অন্ত্রও কেটে ফেলে। কিন্তু অবস্থা জটিল হয়ে যায়। তাকে দ্রুত ক্লিনিকে নেয়ার পরামর্শ দেন ওই হাতুড়ে ডাক্তার। কিন্তু ততক্ষণে শিশুটির অবস্থা বেশ খারাপ। শিশুটির অবস্থা দেখে ক্লিনিক কর্তৃপক্ষ তাকে ভর্তি করাতে অস্বীকার করে। মেয়ে অবস্থা দেখে শিশুটির বাবা তো পাগলপ্রায়। তাকে দ্রুত নিয়ে যাওয়া হয় স্থানীয় সদর হাসপাতালে। ডাক্তার পরীক্ষা করে দেখেন মেয়েটি মারা গেছেন।
এরপর যা হয়। সবাই খুব সচেতন হয়ে উঠে। শিশুটির আত্মীয় স্বজনরা ওই ডাক্তারকে গণধোলায় দিয়ে পুলিশের হাতে তুলে দেয়। আর পুলিশও নড়েচড়ে বসে। শুরু করে তদন্ত।
যখন চিকিৎসা বিজ্ঞান প্রযুক্তির কল্যাণে এগিয়ে যাচ্ছে আর কিছু মানুষ তাদের অসচেতনতার জন্য ক্রমাগত পিছিয়ে যাচ্ছে।



মন্তব্য চালু নেই