এমপি-এসপির ষড়যন্ত্র! নৌকা প্রতীকের পথসভা বন্ধে ১৪৪ ধারা
যশোরের ঝিকরগাছা উপজেলার তিন ইউনিয়নে ১৪৪ ধারা জারি করে নৌকা প্রতীকের নির্বাচনী পথসভা বন্ধ করে দিয়েছে প্রশাসন। এ ঘটনায় স্থানীয় এমপি মনিরুল ইসলাম ও পুলিশ সুপার আনিসুর রহমানকে দায়ী করেছে উপজেলা আওয়ামী লীগ।
শনিবার বিকেল ৫টায় যশোর প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করে উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি জাহাঙ্গীর আলম মুকুল এমন অভিযোগ করেন।
সংবাদ সম্মেলনে মুকুল বলেন, শনিবার বিকেল চারটা থেকে তিনটি ইউনিয়নে আওয়ামী লীগের নির্বাচনী পথসভা হওয়ার কথা ছিল। ওই পথসভায় জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শাহীন চাকলাদারসহ জেলা আওয়ামী লীগের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত থাকার জন্য সম্মতি দিয়েছিলেন। কিন্তু হঠাৎ করে বিকেল ৩টার দিকে উপজেলার শিমুলিয়া, পানিসারা ও গদখালি ইউনিয়নে ১৪৪ ধারা জারি করা হয়েছে। ওই ইউনিয়নগুলোতে ১৪৪ ধারা জারির করার মতো কোনো পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়নি। স্থানীয় এমপি মনিরুল ইসলাম ও পুলিশ সুপার আনিসুর রহমান ষড়যন্ত্রমূলকভাবে এই ১৪৪ ধারা জারি করিয়েছেন। আওয়ামী লীগে ঘাপটি মেরে থাকা চক্র প্রশাসনকে সহযোগিতা করেছে।
উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আরও বলেন, যশোরের পুলিশ সুপার আনিসুর রহমানকে অপসারণ না করলে নির্বাচন সুষ্ঠু হবে না। জননেত্রী শেখ হাসিনার মনোনীত নৌকার প্রার্থীদের পরাজিত করতে তিনি মরিয়া। তাই অবিলম্বে পুলিশ সুপারকে অপসারণ করতে হবে। এ বিষয়ে এমপি মনিরুল ইসলামের বক্তব্য নিতে একাধিকবার ফোন দেয়া হলেও তিনি মুঠোফোন রিসিভ করেননি।
তবে ঝিকরগাছা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আবদুল জলিল জানিয়েছেন, তিনটি ইউনিয়নে আওয়ামী লীগের পথসভা ছিল। সেখানে বিদ্রোহী প্রার্থীদের সঙ্গে সংঘর্ষের আশঙ্কা থাকায় জেলা ম্যাজিস্ট্রেটের নির্দেশে ১৪৪ ধারা জারি করা হয়েছে।
ঝিকরগাছা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোল্লা খবির আহমেদ জানান, পথসভায় জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শাহীন চাকলাদারের বক্তব্য দেয়ার কথা ছিল। ওই ইউনিয়নে আওয়ামী লীগের মনোনয়নবঞ্চিতরা শাহীন চাকলাদারকে প্রতিহত করার ঘোষণা দেয়। এ নিয়ে সহিংসতার আশঙ্কার প্রতিবেদন দিয়েছে গোয়েন্দা সংস্থা। গোয়েন্দা সংস্থার প্রতিবেদনের প্রেক্ষিতে ওই তিন ইউনিয়নে দুপুর ২টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত ১৪৪ ধারা জারি করা হয়েছে।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন- উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মনিরুল ইসলাম, ঝিকরগাছায় আওয়ামী লীগ মনোনীত ৬জন চেয়ারম্যান প্রার্থী আমিনুর রহমান (গঙ্গানন্দপুর), আবদুর রাজ্জাক (মাগুরা), মতিয়ার রহমান সরদার (শিমুলিয়া), শহিদুল ইসলাম (গদখালি), নওশের আলী (পানিসারা) ও গোবিন্দ চন্দ্র চ্যাটার্জি (শংকরপুর)।
মন্তব্য চালু নেই