এমএইচ৩৭০ উদ্ধার অভিযান ।। ব্লুফিন-২১ ব্যর্থ হলে নামবে রেমুস ও রেমোরা

ছোট আকারের মনুষ্যবিহীন সাবমেরিন ব্লুফিন-২১ বিগত ৫ ও ৬ এপ্রিল প্রাপ্ত সিগন্যালগুলোর সম্ভাব্য অঞ্চলের মধ্যবর্তী দূরত্বে অনুসন্ধান চালানোর জন্যে তৈরি হয়ে আছে।  ব্লুফিন-২১ ব্যর্থ হলে অভিযানে নামবে ফরাসী সাবমেরিন রেমুস ও রেমোরা।

৫ ও ৬ এপ্রিল চীনা ও অস্ট্রেলীয় জাহাজদ্বয় পৃথক দুটি স্থান হতে দুটি শব্দ সংকেত ধারণ করতে পেরেছিল। স্থানদুটির অনুমাননির্ভর দূরত্ব প্রায় ৬০০ কিলোমিটার। অভিযাত্রীবাহী জাহাজগুলো এখন ঐ এলাকার প্রতি বিশেষ মনোযোগ রেখে অনুসন্ধান চালাচ্ছে।

কোন শব্দ সংকেত পেলে ব্লুফিন-২১ নামানো হবে। ব্লুফিন-২১ শব্দ তরঙ্গ পাঠিয়ে সাগরের তলদেশের লেখচিত্র পাঠাতে সক্ষম। সেই লেখচিত্র দেখে মনুষ্যবিহীন যানটিকে সহজেই নিয়ন্ত্রণ করার সম্ভব। কিন্তু গোল বেঁধেছে পানির তলেদেশের এ যানটির সীমাবদ্ধতা নিয়ে।

ব্লুফিন-২১ পানির নিজে ৪ হাজার ৫০০ মিটার নিচ পর্যন্ত চলাচল করতে পারে। এর নিচে পানির চাপ সহনক্ষমতা নেই যন্ত্রটির। সুতরাং বিমানটি যদি উক্ত গভীরতারও আরও নিচে অবস্থান করে, তাহলে তার খুঁজে বের করার সামর্থ নেই ব্লুফিনের।

এরপরও উপায় আছে। ব্লুফিন ব্যর্থ হলেও অভিযান পরিচালনার জন্যে তৈরি আছে ফরাসী মনুষ্যবিহীন তলযান রেমুস ও রেমোরা। এ যান দুটো সাগরের তলদেশের ৬ হাজার মিটার গভীরতা পর্যন্ত পানির চাপ সহ্য করে কাজ করতে সক্ষম।

ইতোমধ্যে কমওয়েলথ সায়েন্টিস্ট ইন্ডাস্ট্রিয়াল রিসার্চ অরগানাইজেশন (CSIRO) উপগ্রহের সাহায্যে সাগরের ত

লদেশের তাপীয় লেখাচিত্র উদ্ধার করেছে। এ লেখ থেকে স্রোতের গতিপ্রকৃতিও বোঝা সম্ভব হচ্ছে। প্রতিষ্ঠানটি সার্বক্ষণিক পর্যবেক্ষণ চালু রেখেছে।



মন্তব্য চালু নেই