এবার গরু জবাই বন্ধে সমর্থন মানেকার

এবার গরু ও মহিষ জবাই বন্ধে জাতীয় নিষেধাজ্ঞা জারির পক্ষে সমর্থন জানালেন ভারতের কেন্দ্রীয় নারী ও শিশু কল্যাণ মন্ত্রী মানেকা গান্ধী।

বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেল এনডিটিভিকে দেয়া সাক্ষাৎকারে তিনি এ মত প্রকাশ করেন।

মানেকা গান্ধী বলেন, ‘আমি মনে করি-গরু ও মহিষ জবাইয়ের ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি হওয়া উচিত। কারণ, ৯০ শতাংশ ঘটনায় অবৈধভাবে তাদের জবাই করা হচ্ছে। আইন বলছে, নির্দিষ্ট বয়স (১৪ বা ১৬) পরে তাদের জবাই করা যেতে পারে। কিন্তু এখন যাদের জবাই করা হচ্ছে, তারা গর্ভবতী বা দুধেলা গাভী। এর ফলে দেশে দুধের উপর ব্যাপক প্রভাব পড়েছে। দেশে আমাদের কাছে কোনো দুধই নেই।’

দু’বছর আগের একটি প্রতিবেদন তুলে ধরে মেনকা গান্ধী বলেন, ‘দেশের ৮০ শতাংশ দুধই নকল। সমগ্র উত্তরপ্রদেশ বা বিহার রাজ্যে কোনো দুধ নেই। আর যদিও বা যা পাওয়া যায় তা ভেজালে ভরা।’

মন্ত্রী অবশ্য গরু-মহিষ হত্যা বন্ধের বিষয়টি ধর্মীয় দৃষ্টিভঙ্গিতে বিচার করতে চান না বলে দাবি করেছেন।

গত মার্চে গোমূত্র থেকে তৈরি গোনাইল দিয়ে ঘর পরিষ্কার করার সুপারিশ করেছিলেন মানেকা গান্ধী। গোনাইল হল গরুর মূত্র দিয়ে তৈরি এক বিশেষ ধরণের ফিনাইল। মন্ত্রীর দাবি, ফিনাইলে ব্যবহৃত কেমিক্যাল পরিবেশের পক্ষে ক্ষতিকারক, তাই সরকারি অফিস বা ঘর পরিষ্কার করার জন্য ‘পরিবেশ বান্ধব’ গোনাইল ব্যবহার করতে হবে।

এর আগে সংসদে বিজেপি এমপি শঙ্করভাই এন দাবি করে বলেছিলেন, ‘গোমূত্র খেলে ক্যান্সার রোগ সম্পূর্ণ সেরে যায়। কিন্তু কেউ এ কথা শুনতে চায় না।’ ক্যান্সারের হাত থেকে বাঁচার জন্য তিনি গোহত্যা বন্ধের জন্য জোরালো দাবি জানান।

গত এপ্রিলে গরুকে ‘রাষ্ট্রমাতা’ হিসেবে স্বীকৃতি দেয়ার দাবি করে আন্দোলন শুরু করেছেন বিজেপি এমপি’ যোগী আদিত্যনাথ।



মন্তব্য চালু নেই