ইয়েমেনে সৌদি হামলা আন্তর্জাতিক আইনের পরিপন্থি
ইয়েমেনের উত্তরাঞ্চলীয় সাদ শহরের বাসিন্দারা সৌদি নেতৃত্বাধীন জোটের বিমান হামলার মুখে পালিয়ে যাচ্ছে। গাড়িতে পর্যাপ্ত জ্বালানি না থাকায় অনেকে পায়ে হেঁটে শহর ছাড়তে শুরু করেছে বলে ত্রাণ কর্মীরা জানিয়েছে।
এদিকে আরব জোটের এই বিমান হামলাকে আন্তর্জাতিক আইনের পরিপন্থি বলে উল্লেখ করেছেন ইয়েমেনে নিযুক্ত জাতিসংঘ প্রতিনিধি। গত ২৬ মার্চ থেকে শুরু হওয়া ওই বিমান হামলায় এ পর্যন্ত কমপক্ষে ১৪শ মানুষ প্রাণ হারিয়েছে বলে জাতিসংঘ জানিয়েছে।
ইয়েমেনের শিয়াপন্থি হুতি বিদ্রোহীরা রাজধানী সানা দখল করে নেয়ার বেশ কয়েক সপ্তাহ পর দেশটিতে বিমান হামলা শুরু করেছে সৌদি জোট। তারা ইয়েমেনের নির্বাসিত প্রেসিডেন্ট মানসুর হাদিকে পুনরায় ক্ষমতায় বসানোর লক্ষ্যে হুতিদের বিরুদ্ধে এই বিমান হামলা চালিয়ে যাচ্ছে।
গত শুক্রবার সৌদি জোট সাদা প্রদেশকে ‘সামরিক জোন’ হিসেবে ঘোষণা করে এর অধিবাসীদের ওই এলাকা ত্যাগ করার নির্দেশ দিয়েছে।
ইয়েমেনের জাতিসংঘের মানবকল্যান সমন্বয়কারী জোহানেস ভান ডের ক্লাউ এ ঘটনাকে আন্তর্জাতিক আইনের পরিপন্থি হিসেব উল্লেখ করেছেন। তিনি বলেন, সৌদি জোটের এই ঘোষণার পর সাদের বহু বেসামরিক লোকজন আটকা পড়েছে। জ্বালানি সঙ্কটের কারণে তারা গাড়িতে করে কোথাও যেতে পারছে না। কেউ কেউ অবশ্য পায়ে হেঁটেই রওয়ানা দিয়েছেন।
শনিবার এক বিবৃতিতে আরো বলেছেন,‘একটি জনবহুল অঞ্চলে কোনোরকম সতর্কতা সঙ্কেত ছাড়াই এ ধরনের হামলা চালানো আন্তর্জাতিক আইনের পরিপন্থি।’
শনিবার গত ২৪ ঘণ্টায় আরব জোট ইয়েমেনে ১৩০টি বিমান হামলা চালিয়েছে। সৌদি নেতৃত্বাধীন জোটের মুখপাত্র ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আহমাদ আসিরি জানিয়েছেন, চলতি সপ্তাহের গোড়ার দিকে হুতিরা সৌদি সীমান্তে যে শেল নিক্ষেপ করেছে তার জবাবেই শনিবার তারা এসব হামলা চালিয়েছে। হুতিদের ওই হামলায় ১০ জন নিহত হয়েছিল।
এদিকে আরব জোটের বিমান হামলা শুরু হওয়ার পর শত শত পরিবার সাদা প্রদেশ ছেড়ে পালিয়ে গেছে বলে হুতি বিদ্রোহী এবং নিরাপত্তা কর্মকর্তারা জানিয়েছেন।
মন্তব্য চালু নেই