ইসরায়েলের প্রথম মুসলিম নারী কূটনীতিক

প্রথমবারের মতো মুসলিম কোনো নারীকে কূটনীতিক দূত হিসেবে নিয়োগ দিয়েছে ইসরায়েল। ছোট্ট একটি আরব শহরে জন্ম নেওয়া ফিলিস্তিনি রাশা অ্যাটামনিকে (৩১) আঙ্কারায় তুর্কি দূতাবাসের সচিব হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে।

একটি গুরুত্বপূর্ণ পদে থেকে দেশের ভঙ্গুর সম্পর্ক উন্নয়নে কাজ করবেন রাশা। গত বছরই ইসরায়েল এবং তুরস্কের মধ্যে পুনর্মিলন চুক্তি স্বাক্ষর করেছে।

গাজার জন্য তুরস্কের মানবিক সহায়তায় নিয়োজিত জাহাজে আইডিএফের সেনা অভিযানের ফলে দু’দেশের মধ্যে সম্পর্কের অবনতি হয়। কিন্তু ওই চুক্তির ফলে ছয় বছর ধরে চলা ভঙ্গুর কূটনৈতিক সম্পর্ক নতুন করে জোড়া লেগেছে।

পশ্চিম তীরের বাকা আল ঘারবিয়া শহরে জন্মগ্রহণ করেন অ্যাটামনি। হিব্রু বিশ্ববিদ্যালয়ে মনোবিজ্ঞানের ওপর পড়াশুনা করেছেন তিনি। এর আগে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ব্যাপক প্রতিযোগিতামূলক তিন বছরের একটি ক্যাডেট কোর্সও করেছিলেন।

অ্যাটমি তার ব্লগে লিখেছেন, ওই কোর্স সম্পন্ন করার পর কূটনীতিক হওয়ার সিদ্ধান্ত নেন তিনি। এরপর জাতিসংঘে ইসরায়েলের মিশন এ তিন মাসের ইন্টার্নশীপ পান তিনি।

হিব্রু ভাষায় অ্যাটমি লিখেছেন, সবসময় আমার সঙ্গে ভালো কিছু ঘটে। একদিন আমি মানবাধিকার কমিটিতে নির্ধারিত চেয়ারে বসলাম। সেখানে নারী অধিকার লঙ্ঘনের ব্যাপারে গুরুত্বপূর্ণ ও আকর্ষণীয় বক্তব্য শুনলাম।

বিভিন্ন কাউন্সিলে ইসরায়েলের বিরুদ্ধে অনেক দেশ অভিযোগ তুলেছে। ইসরায়েলের ব্যাপারেও জাতিসংঘ হতাশ এবং একই সঙ্গে বিরক্তও। কিন্তু এখন সময় বদলেছে। এখন সিরিয়া, সৌদি আরব, ইরান, ইরাকে মানবাধিকার লঙ্ঘন হচ্ছে। এরা সবাই ইসরায়েলের দিকে আঙুল তুলেছে। সেখানে আমি ফিলিস্তিনি মুসলিম নারী হয়ে জাতিসংঘের মানবাধিকার কমিশনে ইসরায়েলের প্রতিনিধিত্ব করছি।

এর আগে খ্রিস্টান ও মুসলিম পুরুষদের কূটনীতিক হিসেবে নিয়োগ দিয়েছে ইসরায়েল। তবে দেশের অভ্যন্তরে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে মুসলিম নারীরা কাজ করতে পারলেও তাদের দেশের বাইরে কাজ করার অনুমতি দেয়া হয়নি।



মন্তব্য চালু নেই