ইসরায়েলের পরমাণু বোমার তথ্য ফাঁস আমেরিকার

গত মাসে মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামাকে পাশ কাটিয়ে সিনেটের স্পিকার জন বোয়েনারের আমন্ত্রনে কংগ্রেসে বক্তব্য রেখেছিলেন ইসরাইলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতিনিয়াহু। বিষয়টি নিয়ে ওবামা প্রশাসনের সঙ্গে ইসরাইলের সম্পর্কের বেশ অবনতি ঘটে। এর মধ্যে রীতিমতো একহাত দেখিয়ে দিয়েছে হোয়াইট হাউজ। দীর্ঘদিন ধরে গোপনে চালানো ইসরাইলের পরমাণু কর্মসূচি সম্পর্কে সম্প্রতি তথ্য ফাঁস করেছে মার্কিন প্রশাসন। মার্কিন সাংবাদিক গ্রান্ট স্মিথের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে আমেরিকার ফ্রিডম অব ইনফরমেশন বা এফওআইএ নামের তথ্য অধিকারের আওতায় এ তথ্য প্রকাশ করা হয়।

ইসরাইলের পরমাণু কর্মসূচি নিয়ে আরব দেশগুলো বিশেষত ইরান বারবার দৃষ্টি আকর্ষনের চেষ্টা করলেও ইসরাইল বরাবর তা অস্বীকার করে এসেছে। আর একমাত্র ঘনিষ্ঠমিত্র বলে পরিচিত আমেরিকাও বিষয়টি জানার পর না দেখার ভান করে এসেছে।

গত মাসে প্রকাশিত প্রতিবেদনটি মার্কিন প্রতিরক্ষা দফতরের নির্দেশে ১৯৮৭ সালে লিডিং টেকনোলজিস ইনকরপোরেটেড নামের একটি সংস্থা তৈরী করেছিল । এতে, ১৯৭০ এবং ১৯৮০’এর দশকে পরমাণু বোমা তৈরির বিষয়ে ইসরাইলি সাফল্যের কথা বিস্তারিতভাবে তুলে ধরা হয়েছে। প্রতিবেদনটি প্রকাশের বিষয়ে তিন বছর ধরে প্রস্তুতি চলছিল। আর এটি প্রকাশের মোক্ষম একটি সময়ও খুঁজছিল ওবামা প্রশাসন।

ক্রিটিক্যাল অ্যাসেসমেন্ট ইন ইসরাইল অ্যান্ড ন্যাটো নেশন্স নামের ৩৮৬ পৃষ্ঠার ওই প্রতিবেদনে ইসরাইলি পরমাণু গবেষণাগারগুলোর উচ্চ মানের কথা তুলে ধরা হয়েছে। এতে বলা হয়েছে, ইসরাইলের সোরেক এবং দিমোনা পরমাণু স্থাপনা মানের দিকে থেকে আমেরিকার লস অ্যালমস, লরেন্স লিভারমোর এবং ওক ন্যাশনাল ল্যাবোরেটরিজের পরমাণু গবেষণাগারগুলোর সমান। এ ছাড়া, পরমাণু বোমা তৈরির সঙ্গে জড়িত সব ধরণের প্রযুক্তি নিয়ে সোরেক কেন্দ্রে কাজ করা হয় বলে প্রতিবেদনে জানান হয়েছে।

এতে বলা হয়, ১৯৫৫ থেকে ৬০ সালের মধ্যে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র যখন পরমানবিক বোমা নিয়ে ব্যাপক পরীক্ষা-নিরীক্ষা চালিয়ে যাচ্ছে ওই সময় ইসরাইলির পরামণু অস্ত্রের বিষয়টি নিয়ে সচেতন হয়ে ওঠে। ৮০ এর দশকে প্রচলিত আণবিক বোমার চেয়ে একহাজার গুণ শক্তিশালী বোমা তৈরির চেষ্টা করছিল ইসরাইল ।



মন্তব্য চালু নেই