ইলেকট্রিক কেবল চুরির অভিযোগে অভিযুক্তদের হাত কেটে নিল পুলিশ, পাকিস্তানে শোরগোল

দিলীপ মজুমদার (কলকাতা): ইলেকট্রিক কেবল চুরির দায়ে পুলিশ সন্দেহভাজন দুই ব্যক্তির হাত কেটে নিয়েছে, এই অভিযোগ ঘিরে শোরগোল পাকিস্তানে।গুলাম মুস্তাফা ও লিয়াকত আলি নামে দুজনকে মুলতানের ২০০ কিমি দূরে পঞ্জাবের বেহারি জেলায় বিদ্যুত সরবরাহের কেবল চুরির অভিযোগে সম্প্রতি গ্রেফতার করে পুলিশ।মুস্তাফার দাবি, গত শুক্রবার তাদের প্রত্যেকের একটি করে হাত কেটে নিয়েছে পুলিশ, ।যা মানবাধিকার চূড়ান্ত লঙ্ঘনের সামিল।পাল্টা পুলিশের দাবি, অভিযুক্তরা নিজেরাই আত্মহত্যার চেষ্টায় নিজেদের জখম করেছে।

সম্প্রতি লাহোর হাইকোর্টের বাইরে বাড়ির অমতে পছন্দের পাত্রকে বিয়ে করায় একটি মেয়েকে জনসমক্ষে পাথরের ঘায়ে থেঁতলে মেরে ফেলেছে বাড়ির লোকজন।তার রেশ কাটতে না কাটতেই অভিযুক্তদের হাত কেটে নেওয়ার ঘটনায় মানবাধিকার আন্দোলন কর্মীরা প্রতিবাদে মুখ খুলেছেন।প্রথম সারির এক আইনজীবীর মন্তব্য, দেশটা দ্রুত বর্বরতার পথে এগচ্ছে! স্থানীয় থানার পুলিশকর্তা সাদিক আলি গুজ্জর জানিয়েছেন, ডাক্তাররা সরকারি হাসপাতালে অভিযুক্তদের একজনের একটি হাত জোড়া দিয়েছেন।আরেক অভিযুক্তের একটি হাত থানায় পাওয়া গিয়েছে বলে জানিয়েছেন তিনি।

এ ঘটনায় দুজন পুলিশকর্তার বিরুদ্ধে তদন্ত চলছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।সংশ্লিষ্ট থানার প্রধান সহ অন্য পাঁচজনকে সাসপেন্ড করা হয়েছে

অভিযুক্ত বা সন্দেহভাজনের হাত কেটে নেওয়ার বিধি রয়েছে ইসলামের শরিয়ত আইনে।সুপ্রিম কোর্টেপর আইনজীবী তথা মানবাধিকার আন্দোলনের কর্মী হিনা জিলানির দাবি, ঘটনাটি পাকিস্তানে ধর্মীয় মদত, প্ররোচনায় নজরদারি, পুলিশগিরির প্রবণতা বেড়ে যাওয়ারই ইঙ্গিত দিচ্ছে।রাষ্ট্রযন্ত্র নিজে যখন আইন নিজের হাতে তুলে নিয়ে অমানবিক সাজা দেওয়া অভ্যাসে পরিণত করে ফেলে, তখন আইনের শাসন বলে কিছু থাকে না!



মন্তব্য চালু নেই