ইরান পরমাণু ইস্যু: কেটে যাচ্ছে এক যুগের অচলাবস্থা

ইরানের সঙ্গে পরমাণু ইস্যুতে বোঝাপড়া কি অবশেষে শেষ হতে চলেছে? এমনটাই আভাস দিয়েছেন জার্মানির পররাষ্ট্রমন্ত্রী ফ্রাঙ্ক-ওয়াল্টার স্টেইনমেয়ার। সর্বশেষ সুইজারল্যান্ডের লোজেন শহরে ছয় পরাশক্তির সঙ্গে ইরানের এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে। এ বৈঠক নিয়ে ছয় শক্তি আশাবাদী তো বটেই, আশাবাদী ইরানও।

কূটরীতিকতের ভাষ্য: বৈঠকের পর গণমাধ্যমের মুখোমুখি স্টেইনমেয়ার জানান, অবশেষে প্রায় ১২ বছরের আলোচনা-বিতর্কের পর একটি চূড়ান্ত সিদ্ধান্তে আসার সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে। ইরান ছয় শক্তির চাওয়া অনুসারে তাদের পরমাণু কর্মসূচীতে পর্যাপ্ত রদবদল করার বিপরীতে আরোপিত অবরোধগুলো থেকে মুক্তি পাবে।

ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী জাভেদ জারিফ জার্মান স্টেইনমেয়ার ও ফরাসি লরেঁ ফ্যাবিয়ার সঙ্গে বৈঠকের পর গণমাধ্যমকে বরাবরের মতোই কূটনৈতিক গোপনীয়তা বজায় রেখে জানান, প্রয়োজনীয় উদ্যোগের ব্যাপারে একমত হওয়া সম্ভব হছে। যেসকল ব্যাপারে ইরানের মতদ্বৈততা ছিল, সেগুলো ক্রমশ কেটে যাচ্ছে। বাধাগুলো একে একে লিপিবদ্ধ হচ্ছে, এবং গৃহীত নতুন সিদ্ধান্তগুলোই হবে চূড়ান্ত নীতিমালা। জানা যায় মার্কিন জন কেরির সঙ্গে এ ব্যাপারে আলাপ হয়েছে জাভেদের।

তবে ফরাসি পররাষ্ট্রমন্ত্রী ফ্যাবিয়াস খুব একটা সন্তেষ প্রকাশ করেননি। তিনি জানান, বিশেষ কয়েকটি বিষয়েই কেবল একমত হওয়া গেছে। ওগুলোই মূলত আলোচনার কেন্দ্রবিন্দু। তবে অপরাপর আরও বিষয় রয়েছে, যেগুলোর ওপর প্রতক্ষ্য ও পরোক্ষভাবে সবকিছুই নির্ভর করছে।

আসছে তিন পরাশক্তি: লোজেনের বৈঠকে এখনও যোগ দেয়া বাকি আছে ব্রিটেন, চীন ও রাশিয়ার। ছয় পরাশক্তির কোটা পূর্ণ করতে চলতি সপ্তাহের শেষাংশেই তারা বৈঠকে মিলিত হতে চলেছেন। এখনও পর্যন্ত মনে করা হচ্ছে বৈঠকের খসড়া পর্যালোচনা ৩১ মার্চ-এর মধ্যেই শেষ হবে এবং আগামী ৩০ জুন নাগাদ চূড়ান্ত সিদ্ধান্তে আসা সম্ভব হবে। ইতোপূর্বে সময়সীমা বহুবার পরিবর্তিত হলেও এবার তারা লক্ষ্য অনুযায়ী এগোতে পারবেন বলে আশা করছেন।



মন্তব্য চালু নেই