ইরানে অন্তর্বর্তী পরমাণু চুক্তির মেয়াদ বাড়লো

ইরানের অন্তর্বর্তী পরমাণু চুক্তির মেয়াদ আরো চার মাসের জন্য বাড়ানো হয়েছে। ভিয়েনায় ইরান ও ছয় জাতিগোষ্ঠীর মধ্যকার দীর্ঘ আলোচনার পর শনিবার ভোরে এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।

ইউরোপীয় ইউনিয়নের পররাষ্ট্র নীতি বিষয়ক প্রধান কর্মকর্তা ও ইরানের সঙ্গে আলোচনায় ছয় জাতিগোষ্ঠীর প্রধান আলোচক ক্যাথেরিন অ্যাস্টোন জানিয়েছেন, ‘আলোচনায় কোনো কোনো বিষয়ে উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি হয়েছে এবং চূড়ান্ত চুক্তির খসড়া তৈরির কাজেও আমরা অনেক দূর এগিয়েছি। কিন্তু তারপরও কিছু কিছু মৌলিক ইস্যুতে এখনো বড় ধরনের দূরত্ব রয়ে গেছে।’ আগামী ২৪ নভেম্বর পর্যন্ত দু’পক্ষ আলোচনা চালিয়ে যাবে বলেও জানান তিনি।

এ ব্যাপারে এক যৌথ বিবৃতি প্রকাশ করে দু’পক্ষ। ইরানের প্রধান আলোচক ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী মোহাম্মাদ জাওয়াদ জারিফ বলেন, ‘আগামী কয়েক সপ্তাহের মধ্যে দু’পক্ষ আবার আলোচনায় বসবে। সেখানে চূড়ান্ত সমঝোতায় পৌঁছানোর ব্যাপারে দু’পক্ষেরই প্রবল ইচ্ছাশক্তি থাকবে এবং সে সমঝোতা হবে যতদ্রুত সম্ভব।’

সমঝোতা অনুযায়ী আগামী চার মাসে বহির্বিশ্বে আটকে পড়া ২৮০ কোটি ডলার দেশে আনতে পারবে ইরান। অন্যদিকে একই সময়ে ইরানে ২০ মাত্রায় সমৃদ্ধ ইউরেনিয়ামের এক-তৃতীয়াংশকে জ্বালানীতে রূপান্তর করা হবে।

আলোচনায় অংশগ্রহণকারী মার্কিন কর্মকর্তারা রোববার ভিয়েনা ত্যাগ করবে। এরপর আগামী মাসে আবার বিশেষজ্ঞ পর্যায়ের আলোচনা শুরু করবে ইরান ও ছয় জাতিগোষ্ঠী। এছাড়া, সেপ্টেম্বর মাসে নিউ ইয়র্কে জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের অধিবেশনের অবকাশে দু’পক্ষের মধ্যে আলোচনার আরেকটি সুযোগ আসবে বলে একাধিক পশ্চিমা কূটনৈতিক সূত্র জানিয়েছে।

জাতিসংঘের পাঁচ স্থায়ী সদস্যদেশ ও জার্মানিকে নিয়ে গঠিত ছয় জাতিগোষ্ঠী গত বছর নভেম্বরে ইরানের সঙ্গে এক অন্তর্বর্তী পরমাণু চুক্তি সই করে। চুক্তি অনুযায়ী ইরান তার পরমাণু কর্মসূচিতে কিছু সীমাবদ্ধতা আরোপ করে এবং এর বিনিময়ে বহির্বিশ্বে আটকে পড়া কয়েকশ’ কোটি ডলার ফেরত পায় তেহরান। ছয় মাসের চুক্তিটি চলতি বছরের ২০ জানুয়ারি বাস্তবায়ন শুরু হয়। ২০ জুলাই এর মেয়াদ শেষ হওয়ার কথা থাকলেও এখন তা ২০ নভেম্বর পর্যন্ত বাড়ানো হলো। কিন্তু এবার এ মেয়াদ শেষ হওয়ার আগেই চূড়ান্ত চুক্তি সই করার আগ্রহ প্রকাশ করেছে দু’পক্ষ।



মন্তব্য চালু নেই