ইউপি নির্বাচনে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ১ লাখ ৮০ হাজার সদস্য
পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) এ কে এম শহীদুল হক বলেছেন, নিরপেক্ষ ও শান্তিপূর্ণ ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) নির্বাচন উপহার দিতে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর ১ লাখ ৮০ হাজার সদস্য মোতায়েন করা হয়েছে। এর মধ্যে ৪০ হাজার পুলিশ, ৯ হাজার র্যাব, ৯ হাজার বিজিবি এবং বাকিরা আনসার-ভিডিপির সদস্য। এ ছাড়া, ম্যাজিস্ট্রেটের নেতৃত্বে একাধিক স্ট্রাইকিং ফোর্স নির্বাচনী এলাকায় টহল দেবে।
রোববার বেলা সাড়ে ১১টায় পুলিশ সদর দফতরে এক সংবাদ সম্মেলনে আইজিপি এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, স্থানীয় সরকার নির্বাচন হওয়ায় এখানে তীব্র প্রতিদ্বন্দ্বিতা হবে। যেখানে প্রতিদ্বন্দ্বিতা সেখানেই সহিংসতা ঘটনা আশঙ্কা থাকে। তাই এ আশঙ্কা থেকেই আইনশৃঙ্খলা বাহিনী তৎপর থাকবে, যাতে কেউ পেশিশক্তির জোর দেখাতে না পারে। কেউ এ রকম দেখাতে চাইলে তার বিরুদ্ধে সঙ্গে সঙ্গে অ্যাকশনে যেতে পারবে সংশ্লিষ্ট এলাকায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কর্মকর্তারা।
আইজিপি বলেন, আইনশৃঙ্খলা বাহিনী নির্বাচন কমিশনের আওতায় থেকে কাজ করছে। অতএব কেউ অভিযোগ করলেও বাস্তবে সরকারের হয়ে কাজ করার সুযোগ নেই আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর।
শহীদুল হক বলেন, নির্বাচনকে ঘিরে এখন পর্যন্ত ২০৮টি সহিংসতার ঘটনা ঘটেছে। এসব সহিংসতায় সাতজন মারা গেছে। শতাধিক আহত হয়েছে। থানায় মোট মামলা হয়েছে ১৪৩টি। গ্রেফতার হয়েছে ৯৫ জন।
এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ভোটকেন্দ্রে কেউ দখলবাজি, সহিংসতা করে গন্ডগোল করতে পারবে না। যদি কেউ করে তার বিরুদ্ধে ফৌজদারি মামলা করা হবে। প্রিজাইডিং অফিসার চাইলে সঙ্গে সঙ্গে সেই কেন্দ্র স্থগিত করতে পারবেন।
সরকারি দলের প্রার্থীর প্রতিপক্ষ প্রার্থীদের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানি করা হচ্ছে- এমন প্রশ্নের জবাবে আইজিপি বলেন, ‘কাউকেই মিথ্যা মামলায় হয়রানি করা হচ্ছে না।’
মন্তব্য চালু নেই