আর্জেন্টিনার নির্বাচন ও অর্থনৈতিক চ্যালেঞ্জ

আর্জেন্টিনায় শুরুর হতে যাচ্ছে প্রেসিডেন্ট নির্বাচন। রোববার এই নির্বাচনের প্রথম পর্ব অনুষ্ঠিত হয়েছে। এই নির্বাচনের মধ্য দিয়ে পরপর দু’বার ক্ষমতায় থাকা প্রেসিডেন্ট ক্রিস্টিনা ফার্নান্দেস কির্চনারের সুদীর্ঘ ১২ বছরের ক্ষমতার অবসান হতে যাচ্ছে।

সাংবিধানিকভাবে আর্জেন্টিনায় দু’বারের বেশি ক্ষমতায় থাকা যায় না।

তাই নিশ্চিতভাবেই বলা যায়, আসন্ন নির্বাচনে প্রেসিডেন্ট কির্চনার্সকে ক্ষমতা থেকে সাংবিধানিকভাবেই সরে দাঁড়াতে হচ্ছে। তবে তার প্রভাব ঠিকই বজায় থাকার একটা সম্ভাবনা দেখা যাচ্ছে। কারণ তার নিজ হাতে গড়া যোগ্য উত্তরাধিকারী এবং ডান হাত দানিয়েল স্কিউলিই এবারের নির্বাচনের জনসমর্থনের দিক থেকে এগিয়ে থাকা প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী।

তবে তার পথ হয়তোবা এতটা মসৃণ নাও হতে পারে। কারণ আর্জেন্টিনার রাজধানী বুয়েন্স এইরেসের মেয়র মৌরিসিও মাক্রি ইতোমধ্যেই নির্বাচনী মাঠে বেশ বড় একটা স্থান দখল করে নিয়ে তার ঠিক পিছনেই অবস্থান করছেন।

নির্বাচনী জয়ের সম্ভাবনার এবং এখনো পর্যন্ত ফলাফলের ওপর ভিত্তি করে তৃতীয় স্থানে রাখতে হবে প্রেসিডেন্ট কির্চনারের আরেক শুভাকাঙ্ক্ষী এবং এক সময়ের রাজনৈতিক মিত্র সার্জিও মাসাকে। আসন্ন নির্বাচনী মঞ্চে এই তিন প্রধান প্রতিদ্বন্দী ছাড়াও আরও তিনজনের প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার খবর পাওয়া গেছে।

রোববার নির্বাচনের প্রথম পর্বে জয়লাভের জন্য প্রার্থীকে অবশ্যই তার নিকততম প্রতিদ্বন্দ্বী থেকে ১০ পয়েন্ট বেশি পেতে হবে। এই হিসেবে সর্বোচ্চ শতকরা ৪৫ ভাগ ভোট অথবা সর্বনিম্ন শতকরা ৪০ ভাগ ভোটের প্রয়োজন।

তবে যিনিই নির্বাচনে জয়লাভ করবেন তাকেই যে কঠিন চ্যালেঞ্জটি মোকাবিলা করতে হবে তা হলো অর্থনৈতিক চ্যালেঞ্জ। আর্জেন্টিনা বিপুল সম্ভাবনাময় একটি দেশ। এর সম্ভাবনাকে বহুদূর নিয়ে যেতে কাজ করাই হবে নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্টের প্রথম কাজ। এটি এখন লাতিন আমেরিকাতে তৃতীয় বৃহৎ অর্থনীতির দেশ হিসেবে এর অর্থনীতির চাকা চলছে খুবই ধীর গতিতে।

গত বছর এর জিডিপি ছিল মাত্র ৫ শতাংশ।



মন্তব্য চালু নেই