আদালত অবমাননা করে আবার তিমি শিকার শুরু করতে যাচ্ছে জাপান

জাপান প্রায় একবছরের বিরতি শেষে এন্টার্কটিক মহাসাগরে আবার তিমি শিকার শুরু করবে আগামি বছরের শুরুতে।

ইন্টারন্যাশনাল কোর্ট অব জাস্টিস(আইসিজে) জাপানকে কোনো প্রকারের তিমি শিকার করা থেকে বিরত থাকার আদেশ দেয়া সত্ত্বেও জাপান সম্প্রতি এই ঘোষণা দিয়েছে।

জাপান সরকারের তরফ থেকে বলা হয়েছে, তারা আদালতের আদেশ বিবেচনা করেছেন এবং তাদের এইবারের তিমি শিকার প্রক্রিয়া খুবই ছোট আকারের হবে এবং বৈজ্ঞানিক গবেষণার উদ্দেশ্যে করা হবে।

তবে জাপানের এই ঘোষণার প্রতি নিন্দা জানিয়েছে পরিবেশবাদী দলগুলো, অস্ট্রেলিয়া এবং যুক্তরাজ্য সরকার।

অস্ট্রেলিয়ার পরিবেশ মন্ত্রী গ্রেগ হান্ট বলেছেন, বৈজ্ঞানিক গবেষণার অছিলায় জাপানের কোনো প্রকারের তিমি শিকারকে আমরা সমর্থন করি না।

যুক্তরাজ্যের পরিবেশ মন্ত্রী বলেছেন, দক্ষিণ সাগরে জাপানের আবার তিমি শিকারের সিদ্ধান্তে আমরা খুবই হতাশ হয়েছি। এতে করে ব্যবসায়িক কারণে তিমি শিকারের উপর বিশ্বব্যাপী যে নিষেধাজ্ঞা রয়েছে সেটা অবমাননা করা হয়েছে।

2015_11_28_16_22_11_HhajqcQRESeOZzRRNK66yOrHlKT0Ox_original
জাপানের তিমি শিকারকারী দল

সংবাদ মাধ্যম বিবিসি জানিয়েছে, জাপানের তিমি শিকারকারী দল কয়েক সপ্তাহের মধ্যেই দক্ষিণ সাগরের উদ্দেশ্যে যাত্রা শুরু করবে। জাপান আগে ১ হাজারটি তিমি শিকার করতো কিন্তু তাদের নতুন পরিকল্পনা হচ্ছে এখন তারা ১ তৃতীয়াংশ অর্থাৎ ৩৩৩টি তিমি শিকার করবে।

জাপানের কর্তৃপক্ষ বিশ্বাস করে তাদের এই নতুন পরিকল্পনা বৈজ্ঞানিকভাবে যুক্তিসঙ্গত, যদিও এ কথায় অস্ট্রেলিয়ান সরকার কোনভাবেই সায় দেবে না।

২০১৪ সালে অস্ট্রেলিয়া জাপানের বৈজ্ঞানিক গবেষণার নামে এই তিমি শিকারের বিরুদ্ধে নেদারল্যান্ডের আন্তর্জাতিক আদালতে মামলা করে এবং জিতে যায়। আদালত প্রমাণিত হয়, বৈজ্ঞানিক গবেষণার নামে জাপানের এই তিমি শিকার ভণ্ডামি ছাড়া কিছু নয় বরং এই তিমির মাংস তারা খাবার হিসাবে গ্রহণ করে। আদালত থেকে জাপানকে তিমি শিকার বন্ধ করতে আদেশ দেয়া হয়।

2015_11_28_16_22_13_ZuV7bouxajLABVrTvvBMVeMBq1Wk9X_original
প্লেটে তিমির মাংস

উল্লেখ্য জাপান তিমি শিকার কার্যক্রম শুরু করেছিল ১৯৮৭ সালে। তারা ছোট আকৃতির মিঙ্ক তিমি শিকার করে।



মন্তব্য চালু নেই