আইনজীবী মোহাম্মাদ আলী ২ দিনের রিমান্ডে
বিচারপতির গাড়ি ভাঙচুর ও পুলিশের ওপর হামলার অভিযোগের মামলায় আইনজীবী মোহাম্মাদ আলীর দুই দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন ঢাকা সিএমএম আদালত।
শনিবার ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আমিনুল ইসলাম জামিনের আবেদন অগ্রাহ্য করে এই রিমান্ডের আদেশ দেন।
এদিন মামলাটির তদন্ত কমকর্তা শাহবাগ থানার পরিদর্শক (তদন্ত) একে সাইদুল হক ভূইয়া সুপ্রিম কোর্টের এ আইনজীবীকে আদালতে পাঠিয়ে ১০ দিনের রিমান্ড প্রার্থনা করেন।
এর আগে জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের এ নেতাকে গত শুক্রবার রাত ১১টার দিকে তার সেগুনবাগিচার বাসা থেকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
রিমান্ড আবেদনে বলা হয়, গত ৫ জানুয়ারি বিএনপিসহ ২০ দলীয় জোটের গণতন্ত্র হত্যা দিবসে মামলাটির এই আসামি এবং এজাহারনামীয়সহ অজ্ঞাত ৮০/৯০ জন ব্যক্তি হাইকোর্ট অঙ্গনে লাঠিসোটা ও কালোপতাকা নিয়ে জড়ো হয়ে এনেক্স ভবনের কেচি গেট ভাঙার চেষ্টা করে।
এরপর তারা বিচারপতি ফরিদ উদ্দিন আহমদের পতাকা সম্বলিত গাড়ি ভাঙার উদ্দেশ্যে আঘাত করে। ওই সময় পুলিশ তাদের নিবৃত্ত করার চেষ্টা করলে তারা কনস্টেবল মোস্তাফিজুর রহমানকে মারধর করে আহত করে সরকারি কাজে বাধা দেয়। আসামি মোহাম্মাদ আলী এই ঘটনায় প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে জড়িত বলে ওই আবেদনে দাবি করা হয়।
উল্লেখ্য, একই মামলায় এজাহারনামীয় আসামি সুপ্রিমকোর্ট আইনজীবী সমিতির সম্পাদক মাহবুব উদ্দিন খোকনসহ পাঁচ আইনজীবীকে গত ৬ জানুয়ারি আগাম জামিন দেন করে হাইকোর্ট।
জামিন পাওয়া অন্য আইনজীবীরা হলেন- ঢাকা আইনজীবী সমিতির সাবেক সভাপতি সানাউল্লাহ মিয়া, সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সাবেক কোষাধ্যক্ষ ফাহিমা নাসরিন মুন্নী, সুপ্রিমকোর্টের আইনজীবী শরিফ ইউ আহমেদ ও ঢাকা কোর্টের আইনজীবী লিপি আক্তার।
গত ৬ জানুয়ারি এই পাঁচ আইনজীবীসহ ৮ জনের নাম উল্লেখ করে এবং অজ্ঞাত আরও ৮০/৯০ জনকে আসামি করে মামলাটি দায়ের করেন শাহবাগ থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মাহবুবুল আলম।
মন্তব্য চালু নেই