আইএস জঙ্গি নিধনে দুর্ধর্ষ ৩ কন্যা

যখন দেশের যুবকরা নিজ দেশকে জঙ্গিদের হাতে সপে দিয়ে উন্নত জীবনের জন্য শরণার্থী হয়ে ইউরোপের দেশগুলিতে পাড়ি জমাচ্ছেন তখন এই ৩ কন্যা হাতে তুলে নিয়েছেন অস্ত্র। মাতৃভূমিকে রক্ষার জন্য, জাত-ধর্মের নামে যুদ্ধে প্রতিনিয়ত মানুষের প্রাণের বলি নেওয়া বন্ধের জন্য আইএস জঙ্গিদের সাথে লড়ে যাচ্ছেন মরণপন।

তাদের হাতের বন্দুক আর গায়ের পোশাকটি পাল্টে ফেললে তাঁদের দেখে বোঝার উপায় নেই। মনে হবে আমাদের মতোই সাধারণ। কিন্তু সাধারণ যে নন, তার প্রামাণ রাখছেন রোজ। তুরস্ক থেকে ইরাকের উত্তর প্রান্তে মাউন্ট সিনজার অঞ্চলে আইসিস জঙ্গি কবলিত এলাকায় এসে রয়েছেন শুধুমাত্র এই জঙ্গিদের ‘উচিত শিক্ষা’ দেবেন বলে। এই তিন কন্যার বন্দুকের গুলিতে রোজ অন্তত ১০ জন জঙ্গি নিহত হচ্ছেন।

রাপারিন, রোজা এবং দেইজলি। প্রত্যেকের বয়সই ৩০-এর নীচে। এঁদের মধ্যে সব থেকে ছোট রোজা। তাঁর বয়স ২২।

হঠাৎ দেশ ছেড়ে এমন রুক্ষ পাহাড়ে এসে দিনপাত করছেন কেন তাঁরা? উত্তরটা দিলেন রোজা। দলের সব থেকে ছোট সদস্য। রোজার কথায়, ‘গত বছর যখন আইসিস জঙ্গিরা সিনজারে এসে ইয়াজিদিদের ওপর অকথ্য অত্যাচার চালাচ্ছিল, সেটা সহ্য করতে পারিনি। প্রতিদিন খুন, ধর্ষণ লেগেই থাকত। একটা-দু’টো নয়। শ’য়ে শ’য়ে। আর ধর্ষণকে তো এরা অস্ত্রের মতোই ব্যবহার করছে। মহিলাদের বিক্রি করছে। এই কাজকে এরা ইসলামের রূপ বলে চালাতে চাইছে। এর বিরুদ্ধেই অস্ত্র ধরেছি আমরা।’

গত এক বছরে ৫ হাজারেরও বেশি ইয়াজিদি সম্প্রদায়ভুক্ত মানুষদের অপহরণ করা হয়েছে। কয়েক জনকে ছাড়ানো গেলেও বেশিরভাগই এখনও আইসিসের হাতে বন্দি। মার্কিন বিমান হানার সাহায্যে এঁরা এর মধ্যেই বহু বন্দিকে মুক্ত করতে সফল হয়েছেন। তবে যুদ্ধ যে এখনও শেষ হয়নি তা জানাতে ভোলেননি এঁরা।

সূত্র: ডেইলি মেইল



মন্তব্য চালু নেই