অস্ট্রেলিয়ায় সন্ত্রাস বিরোধী অভিযানে আটক ১৫

অস্ট্রেলিয়ার বড় দুটি শহরে বৃহস্পতিবার বড় আকারের সন্ত্রাস বিরোধী অভিযান চালিয়েছে পুলিশ। জঙ্গি গোষ্ঠী ইসলামি স্টেটের এক উর্ধ্বতন নেতার হত্যার হুমকির জের ধরে ওই অভিযান চালানো হয় বলে সংবাদ সংস্থা বিবিসি জানিয়েছে।

আইএসের এক জঙ্গি নেতা ওই হত্যাকাণ্ড চালানোর নির্দেশ দিচ্ছিলেন বলে বৃহস্পতিবার অস্ট্রেলীয় প্রধানমন্ত্রী টনি অ্যাবোট জানিয়েছেন।

ব্রিসবেন ও সিডনিতে চালানো ওই অভিযানে ভারী অস্ত্রসস্ত্রে সজ্জিত প্রায়৮০০ পুলিশ অংশ নেয়। ওই অভিযানে সন্দেহভাজন ১৫ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। আটক ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে গুরুতর সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডে জড়িত থাকার অভিযোগ আনা হয়েছে। এছাড়া হামলার পরিকল্পনায় জড়িত থাকার অভিযোগ আনা হয়েছে এক ব্যক্তির বিরুদ্ধে।

প্রসিকিউটরা বলছেন, ওই ব্যক্তি কোনো একজনকে হত্যা করার পরিকল্পনা করেছিল। অস্ট্রেলিয়ার সংবাদ মাধ্যমে প্রকাশিত খবরে বলা হয়, জনতার মধ্য থেকে কোনো একজনকে ধরে তাকে ইসলামিক স্টেটের পতাকায় জড়িয়ে তার শিরশ্ছেদ করার পরিকল্পনা করা হয়েছিল।

এই অভিযান সম্পর্কে এক সংবাদ সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রী অ্যাবোট বলেন, ‘এক অস্ট্রেলীয়র কাছ থেকে, এখানে, এই দেশে হত্যাকাণ্ড প্রদর্শনের সরাসরি নির্দেশ আসছিল, যাকে সম্পূর্ণভাবে আইএসআইএল’র (আইএস) জ্যেষ্ঠ কোনো একজন বলে মনে হচ্ছিল।‘তাই এটা কোনো সন্দেহের ব্যাপার নয়, এই পরিকল্পনাই করা হয়েছিল এবং তাই পুলিশ এবং নিরাপত্তা সংস্থাগুলো অভিযান চালানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছিল।’

২৫টি তল্লাশি পরোয়ানা নিয়ে সিডনির ১২টি এলাকায় বৃহস্পতিবার ভোরে অভিযান শুরু করা হয়।

এক বিবৃতিতে অস্ট্রেলিয়ার ফেডারেল পুলিশের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, ‘সিডনিভিত্তিক একটি গোষ্ঠী অস্ট্রেলিয়ায় লোকজনের ওপর বিক্ষিপ্ত হামলা চালানোর পরিকল্পনা করেছিল।’

ওই তদন্তের সূত্র ধরেই অভিযানটি চালানো হয়েছে বলে বিবৃতিতে বলা হয়েছে। অভিযানটিকে অস্ট্রেলিয়ার ইতিহাসে সবচেয়ে বড় সন্ত্রাসবিরোধী অভিযান বলে দাবি করেছে পুলিশ।



মন্তব্য চালু নেই