অবশেষে মোদি-নওয়াজ করমর্দন

সার্ক সম্মেলনের সমাপনী অনুষ্ঠানে শেষ পর্যন্ত করমর্দন করলেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ও পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরীফ। তাদের করমর্দনের সময় যেন নীরবতা ভাঙলো অনুষ্ঠানে যোগ দেয়া অতিথিদেরও। করতালিতে মুখর হলেন তারা।

সার্ক শীর্ষ সম্মেলনে গত দুই দিনে শক্তিধর এই দুই প্রধানমন্ত্রীর মধ্যে কথা পর্যন্ত বন্ধ ছিল। যার প্রভাব পড়ে সার্ক সম্মেলনে তিন গুরুত্বপূর্ণ চুক্তি সাক্ষরের ক্ষেত্রে। প্রথম দিন শেষ হয় গুরুত্বপূর্ণ তিন চুক্তি সাক্ষর ছাড়াই।

এনডিটিভির খবরে বলা হয়েছে, সম্মেলনের প্রথম দিনে ভারতসহ কয়েকটি দেশের পক্ষ থেকে জ্বালানি ও যোগাযোগ খাতে তিন চুক্তি সম্পাদনের প্রস্তাব আনা হলেও তাতে আপত্তি জানায় পাকিস্তান। আন্ত:দেশীয় বাণিজ্য বৃদ্ধির লক্ষ্যে চুক্তি তিনটি জরুরি ছিল।

খবরে বলা হয়েছে, প্রত্যাশিত চুক্তি তিনটি সম্পাদিত না হওয়ায় নেপাল সম্মেলনের সফলতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। এই বদনাম থেকে রক্ষা পেতে নেপালের প্রধানমন্ত্রী সুশীল কৈরালা অন্তত জ্বালানি চুক্তিতে পাকিস্তানের সম্মতি আদায়ে শেষদিন জোর চেষ্টা চালান। তিনি শরীফ ও মোদির মধ্যকার বরফ গলাতে তাদের নিয়ে অবকাশযাপন কেন্দ্র ধূলিখেলে পৃথক বৈঠক করেন।

সূত্র জানায়, দুই শক্তিধর প্রধানমন্ত্রী বৈঠকে কুশল বিনিময় করলেও চুক্তিতে উপনীত হওয়ার মতো কোনো খবর পাওয়া যায়নি। ফলে কাঠমুণ্ডু সম্মেলন শেষ নিষ্ফলাই থেকে যাচ্ছে।

কাঠমুন্ডু ব্যর্থতার জন্য ভারতও কম দায়ী নয়। ভারতের সঙ্গে পাকিস্তানের বিরোধ দীর্ঘ দিনের। সম্মেলনের প্রথম দিনে সেই বিরোধ প্রকাশ্য রূপ ধারণ করেন। নরেন্দ্র মোদি সার্ক শীর্ষ সম্মেলনে প্রতিবেশি সব দেশের সরকার ও রাষ্ট্রপ্রধানদের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় বৈঠকে বসলেও পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরীফের সঙ্গে তিনি বৈঠকে বসেননি। সংশ্লিষ্টদের ধারণা, পাকিস্তাকে কোণঠাসার করার এই কৌশল নওয়াজ শরীফকে ক্ষুব্ধ করে থাকতে পারে।

এই বৈঠকের বিষয়ে জিওটিভির সঙ্গে এক সাক্ষাৎকারে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরীফ বলেন, আলোচনা বাতিলের সিদ্ধান্ত দিল্লির একতরফা। বল এখন ভারতের কোর্টে। আলোচনার যে কোনো উদ্যোগ এখন ভারতের প্রধানমন্ত্রীকেই নিতে হবে।

তবে ভারতের মুখপাত্র দ্বিপক্ষীয় ওই বৈঠক না হওয়ার জন্য পাকিস্তানের প্রতিশ্রুতির ঘাটতিকে দায়ী করেছেন।



মন্তব্য চালু নেই