অণুবীক্ষণ যন্ত্রের উন্নয়নে রসায়নে নোবেল

২০১৪ সালের রসায়নে নোবেল জয়ীদের নাম ঘোষণা করেছে রয়্যাল সুইডিশ অ্যাকাডেমি অব সায়েন্সেস। রসায়নে এবার নোবেল পাচ্ছেন- এরিক বেতজিগ, স্টিফ্যান হেল এবং উইলিয়াম ময়েরনার।
অণুবীক্ষণ যন্ত্রের রেজ্যুলেশন বৃদ্ধিতে অবদান রাখার জন্য এ পুরস্কার পাচ্ছেন তারা। বুধবার বিবিসি এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে।
অপটিক্যাল মাইক্রোসকোপির ক্ষেত্র এরিক, স্টিফ্যান ও উইলিয়াম যে পরিবর্তন এনে দিয়েছেন তার মাধ্যমে অণু সম্পর্কে আরও সহজে জানা যাবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
১৮৭৩ সালের দিকে জার্মান পদার্থবিদ আর্নেস্ট আবে বলেছিলেন, অণুবীক্ষণ যন্ত্রের ক্ষেত্রে বিজ্ঞান সর্বোচ্চ রেজ্যুলেশনে পৌঁছে গেছে। ওই সময়টাতে বিজ্ঞানমহলে এমনই ধারণাই প্রচলিত ছিল।
ওই ধারণাকে ভুল প্রমাণিত করে চলতি বছরে রসায়নে নোবেল জিতে নিলেন এরিক বেতজিগ, স্টিফ্যান হেল এবং উইলিয়াম ময়েরনার।
বিজ্ঞানের ক্ষেত্রে অবিস্মরণীয় এ অবদানের স্বীকৃতি স্বরুপ তারা পাবেন মোট ৮০ লাখ সুইডিশ ক্রোনোর। বাংলাদেশি টাকায় যা ৮ কোটি ৫০ লাখ টাকার বেশি।
বিজয়ীদের মধ্যে এরিক বেতজিগ ও উইলিয়াম ময়েরনার মার্কিন নাগরিক। স্টিফ্যান হেল জার্মান।
গতবছর রসায়নে এ পুরস্কার জিতে নিয়েছিলেন মার্টিন কারপ্লাস, মাইকেল লেভিত ও অ্যারিয়েশ ওয়ারশেল।
গতকাল মঙ্গলবার ঘোসণা করা হয় পদার্থবিজ্ঞানে নোবেলজয়ীর নাম। উজ্জ্বল আলো তৈরি করতে সক্ষম অথচ জ্বালানি সাশ্রয়ী এবং পরিবেশবান্ধব এমন নীল এলইডি (লাইট এমিটিং ডায়োড) উদ্ভাবনের জন্য চলতি বছর পদার্থে নোবেল পাচ্ছেন জাপানি বংশোদ্ভূত তিন বিজ্ঞানী। তারা হলেন- মেইজো ইউনিভার্সিটির ইসামু আকাসাকি, নাগোয়া ইউনিভার্সিটির হিরোশি আমানো এবং ইউনিভার্সিটি অব ক্যালিফোর্নিয়ার সুজি নাকামুরা।
তার আগের দিন সোমবার ঘোঘণা করা হয় চিকিৎসাবিজ্ঞানে জয়ীদের নাম। মস্তিষ্কের জিপিএস ব্যবস্থা উদ্ভাবনে ওই পুরস্কার জিতে নেন যুক্তরাজ্যের গবেষক জন ও’কিফ এবং নরওয়ের বিজ্ঞানী দম্পতি মে-ব্রিট মোসার ও এডওয়ার্ড মোসার।
নীল এলইডিতে পদার্থে নোবেল
মস্তিষ্কের জিপিএস ব্যবস্থা উদ্ভাবনে নোবেল জয়



মন্তব্য চালু নেই