হুমকিতেও বিদ্রোহী ঠেকাতে পারলো না আ.লীগ

সর্বোচ্চ সাংগঠনিক শাস্তির হুমকি সত্ত্বেও আসন্ন পৌর নির্বাচনে বিদ্রোহী প্রার্থী ঠেকাতে ব্যর্থ হয়েছে ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগ। দল মনোনিত প্রার্থী থাকা সত্ত্বেও অনেকগুলো পৌরসভায় বিদ্রোহী প্রার্থীরা মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন। তৃণমূলের মতামতকে উপেক্ষা করাই এর অন্যতম কারণ বলে জানা যাচ্ছে।

বিভিন্ন সূত্র থেকে জানা যায়, তৃণমূলের সুপারিশ থাকা সত্ত্বেও পৌরসভা নির্বাচনে দলীয় মনোনয়ন না পেয়ে একাধিক নেতা স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচনে অংশ নিচ্ছেন। তৃণমূলের সুপারিশ উপেক্ষা করায় সারা দেশে অন্তত ৭০ জন বিদ্রোহী প্রার্থী মনোনয়ন দাখিল করেছে। এর মধ্যে কয়েকটি পৌরসভায় বিদ্রোহীদের তালিকায় স্থানীয় সংসদ সদস্যের ভাইও রয়েছেন।

নোয়াখালীর চৌমুহনী পৌরসভায় দলীয় মনোনয়ন না পেয়ে সাংসদ মামুনুর রশিদের বড় ভাই খালেদ সাইফুল্লাহ স্বতন্ত্র হিসেবে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন।

তৃণমূলের মতামতের ভিত্তিতে পাঠানো তালিকা থেকে সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুরে তৃণমূলের মনোনীত সাবেক পৌর চেয়ারম্যান মিজানুর রশিদ ভূঁইয়ার নাম বাদ দিয়ে কেন্দ্র থেকে মনোনয়ন দেয়া হয় হাজী আব্দুল মনাফকে। মিজানুর রশিদ ভূঁইয়া কেন্দ্রের সিদ্ধান্ত মেনে নিলেও বিদ্রোহী প্রার্থী হিসেবে মনোনয়ন জমা দিয়েছেন যুক্তরাজ্য আওয়ামী লীগ নেতা শাহ নূরুল করিম।

এছাড়া ছাতকে দলীয় প্রার্থী আবুল কালাম চৌধুরীকে চ্যালেঞ্জ করে আওয়ামী লীগ নেতা সাবেক পৌর চেয়ারম্যান আব্দুল ওয়াহিদ মজনু নির্বাচন করার ঘোষণা দিয়েছেন।

বিদ্রোহী প্রার্থীদের ব্যাপারে আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে বলা হয়, দলের শৃঙ্খলা ভঙ্গের প্রমাণ পাওয়া গেলে শাস্তিস্বরূপ দল থেকে বহিষ্কার করাও হতে পারে।

তবে এইসব বিদ্রোহী প্রার্থীদের ‘স্বতন্ত্র’ বলে বর্ণনা করছেন আওয়ামী লীগ। দলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব উল আলম হানিফ বলছেন, ‘কৌশলগত কারণে কিছু স্থানে স্বতন্ত্র প্রার্থী আছেন। নির্বাচন কমিশনের যাচাই-বাছাইয়ে যদি দল মনোনীত প্রার্থী বাদ পড়ে তাহলে শূন্যতা পূরণে কিছু প্রার্থী স্বতন্ত্র হিসেবে আছেন।’ ১৩ ডিসেম্বর প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ দিন। ঐ দিনের পর থেকে আওয়ামী লীগের কোনো বিদ্রোহী প্রার্থী থাকবে না বলে তার দাবি।



মন্তব্য চালু নেই