মুরসির ২০ বছরের কারাদণ্ড

ক্ষমতাচ্যুত প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ মুরসিকে ২০ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছে মিশরের একটি আদালত। তার শাসনামলে বিক্ষোভকারীদের গ্রেপ্তারের আদেশ ও নির্যাতনের অভিযোগে মঙ্গলবার তাকে এ দণ্ড দেয়া হয়।

ক্ষমতা থেকে উচ্ছেদের পর মুরসির বিরুদ্ধে যে কয়টি মামলা করা হয়েছে সেগুলির মধ্যে এটাই প্রথম রায়। তার বিরুদ্ধে বিদেশে গোয়েন্দা তথ্য পাচারসহ গুরুতর অভিযোগের আরও তিনটি মামলা রয়েছে।

ক্ষমতা গ্রহণের মাত্র এক বছর পেরুতেই মিশরের ইতিহাসে প্রথমবারের গণতান্ত্রিকভাবে নির্বাচিত মুসলিম ব্রাদারহুড সমর্থিত প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ মুরসির বিরুদ্ধে আন্দোলনে নামে প্রগতিশীল দলগুলো। তারা মুরসির পদত্যাগ ও পুনঃনির্বাচন দাবি করে। পরবর্তীতে সেনাবাহিনী মুরসিকে ক্ষমতাচ্যুত ও আটক করে। একই সঙ্গে মুসলিম ব্রাদারহুডকেও নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয়।

মঙ্গলবার মুরসিসহ মুসলিম ব্রাদারহুডের ১২ সদস্যের বিরুদ্ধে রায় ঘোষণা সরাসরি সম্প্রচার করে মিশরের রাষ্ট্রীয় টেলিভিশন চ্যানেল। এতে দেখা যায়, আদালতের বিচারক আহমেদ সাবরি ইউসেফ যখন রায় ঘোষণা করছিলেন মুরসি তখন খাঁচার ভেতরে দাঁড়িয়ে। মুরসিসহ ১২ জনের বিরুদ্ধে ২০১২ সালে বিক্ষোভকারীদের বিরুদ্ধে সহিংসতা, অপহরণ ও নির্যাতনের অভিযোগ আনা হয়েছে।

মিশরীয় সাংবাদিক ইয়েহিয়া ঘানেম বার্তা সংস্থা আল জাজিরাকে বলেছেন, এ রায়ের মাধ্যমে সরকার যে বার্তাটি দিয়েছে সেটি হচ্ছে মিশরে কোন বিরোধী দল সহ্য করা হবে না।

তিনি বলেন, প্রথম থেকেই পুরো বিষয়টি রাজনৈতিকভাবে হিসেব করা হয়েছে। এটা মিশরীয় ও অন্যান্য দেশগুলো এই বার্তা দিচ্ছে যে এখানে বেসামরিক শাসনের কোন ভবিষ্যত নেই।



মন্তব্য চালু নেই